Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার

আধ ঘণ্টার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সমেত ডুয়ার্সের কিছু এলাকা। গত শুক্রবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার এবং ডুয়ার্সে ঝড় শুরু হয়। দুপুর থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। সন্ধ্যে নাগাদ শুরু হয় ঝড় এবং বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বজ্রপাত। বজ্রপাতে কোচবিহারে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৯:২৩
Share: Save:

আধ ঘণ্টার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সমেত ডুয়ার্সের কিছু এলাকা। শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার এবং ডুয়ার্সে ঝড় শুরু হয়। দুপুর থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। সন্ধে নাগাদ শুরু হয় ঝড় এবং বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বজ্রপাত। বজ্রপাতে কোচবিহারে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ারের কয়েকটি পুজোমণ্ডপেরও। ঝড়ের পরে জেলার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব না হলেও, ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।

ঝড়ে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে আলিপুরদুয়ারের পাটকাপাড়া এবং মধ্য পাটকাপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। আধ ঘণ্টা ধরে ঝড়বৃষ্টি চলেছে। প্রথমে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুর্ণিঝড়ও চলেছে। তাতে এলাকার কয়েকশো গাছ পড়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনের কাছে খবর এসেছে। শতাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে পুজোমণ্ডপেরও। পাটকাপাড়া পুজো কমিটির মণ্ডপের একাংশও ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের কারণে বন্ধ হয়ে যায় দশমীর বেশ কয়েকটি মেলাও। ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। বিঘার পর বিঘা জমির ধান এবং বেগুন চাষের ক্ষতি হয়েছে। শনিবারও দুই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক সমীরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। গত শুক্রবার ঝড় চলাকালীন কোচবিহারের ঘোকসাডাঙায় বাজ পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে ফিরছিলেন। জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। তবে ধূপগুড়ি, ফালাকাটা এলাকায় ঝড়ের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE