Advertisement
০৪ মে ২০২৪

পুনর্বাসনের দাবিতে বন্‌ধ, বিপর্যস্ত মিরিক

দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিতে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ডাকা বন্‌ধে মিরিকের জনজীবন বিপর্যস্ত হল মঙ্গলবার। এ দিন বারো ঘণ্টার মিরিক বন্‌ধ ডেকেছিল টিঙলিং যৌথ ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন কমিটি। এর জেরে এ দিন মিরিকের সিংহভাগ বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০২:২৭
Share: Save:

দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিতে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ডাকা বন্‌ধে মিরিকের জনজীবন বিপর্যস্ত হল মঙ্গলবার। এ দিন বারো ঘণ্টার মিরিক বন্‌ধ ডেকেছিল টিঙলিং যৌথ ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন কমিটি। এর জেরে এ দিন মিরিকের সিংহভাগ বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।

রাস্তায় যানবাহনের দেখা মেলেনি। বন্ধ ছিল সরকারি-বেসরকারি অফিসও। কমিটির দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের দিরুত লিম্বু গাঁও থেকে সরিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন দিতে হবে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ধসের কারণে ওই পাহাড়ি এলাকায় পাথর-মাটি নড়বড়ে হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময়ে ফের ধস নামতে পারে। ১ জুলাই রাতে মিরিকের পাহাড়ে ধসে লিম্বু গাওঁয়ের ১৬ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এখনও তিন বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন। ধসে চারটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে যায়। কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেড়শো বাড়ি।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধসের পরে তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সাত মাস কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কয়েক মাস পরেই বর্ষার সময়ে ফের ধস নামার আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘গ্রামটি একটি চা বাগানের মধ্যে পড়ে। পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষেরই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব তৈরি হয়েছে।’’ এলাকার জিটিএ সদস্য অরুণ সিঙ্গে বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। জেলা প্রশাসন এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’’

আন্দোলনকারী কমিটির সভাপতি টমাস থাপা বলেন, ‘‘ধসের পরে পাহাড়ের পাথরগুলির যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে ফের একটি ধস নামতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছি। সে কারণেই আমরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mirik strike rehabilitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE