Advertisement
১৭ মে ২০২৪

স্কুলে বসেই সব শংসাপত্র

তফসিলি জাতির শংসাপত্রের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বা বিডিও অফিসে ছোটার দরকার নেই৷ স্কুলে বসেই সময়মত তা হাতে পেয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০২:৪৯
Share: Save:

তফসিলি জাতির শংসাপত্রের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বা বিডিও অফিসে ছোটার দরকার নেই৷ স্কুলে বসেই সময়মত তা হাতে পেয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা৷ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে আধার কার্ড— সবই হয়ে যাচ্ছে স্কুলে বসেই৷ জলপাইগুড়ি তো বটেই, রাজ্যের মধ্যেও এমন ঘটনা শোনা যায় না বিশেষ। তবে এমন ঘটনাই নিয়মিত ঘটে চলেছে ময়নাগুড়ির বেতগারা চারের বাড়ি নগেন্দ্রনাথ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে৷

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এ ধরনের শংসাপত্রের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়৷ তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে জমা দিলে সেখান থেকে তা যায় বিডিও অফিসে৷ সেখান থেকে আবার মহকুমাশাসকের দফতরে৷ সেখান থেকে সার্টিফিকেট পাঠানো হয় বিডিও অফিসে৷ সেখান থেকেই হয় সার্টিফিকেট বিতরণ৷

এই স্কুলে অবশ্য নিয়মটা একেবারেই আলাদা৷ সার্টিফিকেটের জন্য স্কুলের যেসব ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করতে চান তাদের থেকে প্রয়োজনীয় নথি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়ে তাঁরাই অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করে দিচ্ছেন৷ তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন বিডিও অফিসে৷ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে বিডিও অফিসে সার্টিফিকেট এলে, প্রশাসনের বিশেষ অনুমতিতে তা চলে যাচ্ছে স্কুলে৷ স্কুলে বসেই সব ছাত্র-ছাত্রীরা তা হাতে পেয়ে যাচ্ছে।

পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কথায়, সার্টিফিকেটের জন্য কখনও গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে ছোটা তো কখনও বিডিও অফিসে ছুটেও অনেক সময়ই হয়রান হতে হয়৷ স্কুল পুরো দায়িত্বটা নিয়ে নেওয়ায় তার হাত থেকে সকলের মুক্তি৷ যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি অন্যভাবে দেখছেন৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ রায় বলছেন, ‘‘সার্টিফিকেটের জন্য ছোটাছুটিতে পড়ুয়াদের একটা পড়াশোনার দিন নষ্ট হয়৷ সেকথা ভেবেই আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি৷’’ তাঁর দাবি, জলপাইগুড়ি তো বটেই, রাজ্যের আর কোথাও এই ব্যবস্থা নেই ৷

স্কুলটি স্থাপিত হয় ১৯৭১ সালে৷ স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বারোশোর একটু বেশি৷ শুধু সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেই নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এবং এ ক্ষেত্রেও স্কুলে বসে ব্যাঙ্কের ফর্মে শুধুমাত্র স্বাক্ষর ছাড়া আর কিছুই করতে হয়না পড়ুয়াদের৷ সময়মত ব্যাঙ্কের খাতাও পেয়ে যায় তারা৷ একইভাবে স্কুলের মধ্যেই চারবার শিবির করে প্রায় দুশো পড়ুয়ার আধার কার্ড তৈরিও ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে৷ মঙ্গলবারই স্কুলে ২০২ জন পড়ুয়ার হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ির জয়েন্ট বিডিও স্বপন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘এটা খুবই ভাল উদ্যোগ৷ এটা দেখে অন্য স্কুলও অনুপ্রাণিত হবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Students certificates School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE