Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

২০ কিমিতেই বাঁধা গতিবেগ

রেল বোর্ডের নির্দেশে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দার্জিলিং মেল, পদাতিক, জন শতাব্দীর মতো ‘অগ্রাধিকারে’ থাকা ট্রেনগুলি চালানো হবে। সে দিন থেকে বাকি ট্রেনগুলির টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেলেও আদৌ ট্রেন চালানো যাবে কি না, সে প্রশ্নও রয়েছে।

অনির্বাণ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:২৭
Share: Save:

ইঞ্জিনের গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ঘণ্টায় দশ থেকে কুড়ি কিলোমিটার। এই নিয়ন্ত্রণ মেনে চলতে হবে অন্তত ১২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।

আপ-ডাউন ট্রেন চলছে একই লাইন দিয়ে। একই লাইন দিয়ে চালানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা মালবাহী রেক।

এই সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারবে, তা নিয়েই অনিশ্চয়তায় রয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা।

রেল বোর্ডের নির্দেশে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দার্জিলিং মেল, পদাতিক, জন শতাব্দীর মতো ‘অগ্রাধিকারে’ থাকা ট্রেনগুলি চালানো হবে। সে দিন থেকে বাকি ট্রেনগুলির টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেলেও আদৌ ট্রেন চালানো যাবে কি না, সে প্রশ্নও রয়েছে।

এই প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে সোমবার সন্ধ্যায় রেলের একটি বিজ্ঞপ্তি। তাতে আরও ৮টি ট্রেন চলাচল শুরুর কথা জানানো হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বইগামী লোকমান্য টিলক এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করবে। বাকিগুলি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চলবে। এই তালিকায় দার্জিলিং মেলের নাম নেই আর তাতেই সংশয় বেড়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রতিদিন দূরপাল্লার দেড়শোটি ট্রেন এই লাইন দিয়ে চলাচল করে। এখনই এতগুলি ট্রেন চালানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। ৮ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি দেখে ফের ঘোষণা করা হবে।’’

উত্তরবঙ্গ এবং বিহারে বন্যার জল নড়বড়ে করে দেয় অন্তত ১০টি রেল সেতু। সব থেকে ক্ষতি হয় তেলটা এবং সুধানি সেতুর মাঝখানে কাটিহার ডিভিশনের একটি রেল সেতু। দু’দিকের লাইন শূন্যে ঝুলতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের অন্য অংশের রেল যোগাযোগ। বালির বস্তা ফেলে একটি লাইন অস্থায়ী ভাবে মেরামত করা হয়। সেই লাইন দিয়ে চার জোড়া ট্রেন চালানো হচ্ছে। যে সব অংশে ক্ষতি হয়েছে সর্বত্র গতি নিয়ে বিধি নিষেধ রয়েছে।

এখনও সমস্যা কোথায়?

রেলের দাবি তেলটা সেতুর দু’টি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু না হলে পরিস্থিতির সিকিভাগও স্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়। একই লাইনে চলাচল করায় মুখোমুখি দু’টি ট্রেন যাতে না চলে আসে সে কারণে অনেক আগে থেকে বহু ট্রেন থামিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে গতি বেগ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে দার্জিলিং মেল বা পদাতিক যেগুলি গড়পরতা ১০ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছয় সেগুলির প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE