পরিক্রমা: সাইকেলে পথে মৃণালকান্তি অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
টি-শার্ট থেকে টুপি। এমনকি, সাইকেলেও লেখা ‘সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প’। রাজ্যের এই প্রকল্পটির প্রচারে সমুদ্র থেকে পাহাড় পর্যন্ত সাইকেল ভ্রমণে বেরিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরের বাসিন্দা পেশায় শ্রম দফতরের কর্মী মৃণালকান্তি অধিকারী। সোমবার রাতে মালদহে পৌঁছন তিনি। মঙ্গলবার সকালে সাইকেল নিয়ে সন্দাকফুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন মৃণালকান্তি। সাইকেল নিয়ে দফতরের কর্মীর অভিনব প্রচারে উচ্ছ্বসিত মালদহের শ্রম-দফতরের কর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিকেরা।
অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্ঘটনা, অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু কিংবা জখম হলে মিলবে সরকারি অনুদান। প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে শ্রমিকদের মিলবে বিভিন্ন সুবিধাও। মালদহ, রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে বহু শ্রমিক কাজের সন্ধানে পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশে কাজে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে মালদহের মানিকচকের নয় শ্রমিকের। মাসচারেক আগে রায়গঞ্জেরও একাধিক শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে মারা যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই শ্রমিকেরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আসেন না।
তাই শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার ও সচেতনতা বাড়াতে অভিনব এই পদক্ষেপ করছেন মৃণালকান্তি। তিনি কলকাতায় শ্রম দফতরের কর্মী। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সাইকেলে গঙ্গাসাগর থেকে সন্দাকফু পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন মৃণালকান্তি। ওই প্রকল্প নিয়ে লিফলেট থেকে শুরু করে ব্যানারও রয়েছে তাঁর সঙ্গে। সাইকেল মেরামতেরও সরঞ্জাম রেখেছেন তিনি। সাইকেল থামিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় রাস্তার ধারেই টাঙিয়ে দিচ্ছেন ব্যানার। আর সেখানে বসেই শুরু করে দিচ্ছেন এই প্রকল্পের প্রচার। তিনি বলেন, “আমি চাই রাজ্যের সমস্ত শ্রমিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আসুক। দফতরের তরফে নিয়মিত প্রচার করা হয়। তারপরেও অনেকে প্রকল্পের নাম নথিভুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” তিনি বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম, পায়ে হেঁটেই সমুদ্র থেকে পাহাড় পাড়ি দেব। তবে ৪৫ বছর বয়সে পায়ে হেঁটে পৌঁছতে সময় লেগে যাবে। তাই সাইকেল নিয়ে প্রচারে বের হয়েছি।” সোমবার রাতে মালদহে পৌঁছন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy