এইমসের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরুর হুমকি দিল রায়গঞ্জ এইমস রূপায়ণ নাগরিক মঞ্চ। এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল এই মঞ্চ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জে পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে বৈঠক করেন মঞ্চের সদস্যরা। ওই বৈঠকের পর মঞ্চের সভাপতি সুশীল গোস্বামী রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংগঠনের তরফে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেইসঙ্গে, খুব শীঘ্রই এই দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়ে সাধারণ মানুষকে নিয়ে জেলা জুড়ে টানা আন্দোলনে নামার হুমকি দেন সুশীলবাবু।
হাসপাতাল তৈরির দাবিতে পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে বছরখানেক আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ একাধিক গণসংগঠনকে নিয়ে ওই মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন শুরু করা হয়। গত বছরের জুলাই মাসে রায়গঞ্জের বদলে কল্যাণীতে দু’টি জমি পছন্দ করে রাজ্য। তারমধ্যে যে কোনও একটি জমিতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে ওই হাসপাতাল তৈরির জন্য কল্যাণীর বসন্তপুরে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ফের নতুন করে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেন মঞ্চের সদস্যরা।
সুশীলবাবু বলেন, “কল্যাণীতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করা হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু একইসঙ্গে ২০০৯ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রায়গঞ্জেও এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। এই দাবিতেই আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শীর্ষপদে থাকা ব্যক্তিদের স্মারকলিপি জমা দেওয়া এবং জেলাজুড়ে টানা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি জানান, খুব শীঘ্রই রায়গঞ্জে মঞ্চের তরফে একটি বড়মাপের নাগরিক কনভেনশন করে স্মারকলিপি জমা দেওয়া ও আন্দোলনে নামার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
মঞ্চের অন্যতম সদস্য তথা পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোমের দাবি, “কেন্দ্রের তত্পরতায় রাজ্য সরকার রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য পানিশালায় জমি অধিগ্রহণ করবে বলে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা না হওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিত্সা পরিষেবার স্বার্থে মঞ্চের তরফে নতুন করে টানা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।” ওই আন্দোলনে জেলাজুড়ে পথ অবরোধ, রেল অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, সরকারি দফতর ঘেরাও করা সহ সাধারণ ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy