Advertisement
E-Paper

স্কুলছুট রুখে শিশুমিত্র তিন

ওই তিনটি স্কুল হল, রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিন হাইস্কুল, বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মহাদেবপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও করণদিঘি ব্লকের দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাতিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কোথাও স্কুলছুট রখতে সহাপাঠীরাই পড়ুয়াদের বাড়িতে হাজির হয়ে যাচ্ছেন, আবার কোথাও বহু খুঁজলেও স্কুল চত্বরে আবর্জনা বা ক্লাসরুমের দেওয়াল কিংবা বেঞ্চে কলম বা পেনসিলের কোনও আঁচড় খুঁজে পাওয়া যাবে না।

কোথাও আবার নিজেদের চাষ করা আনাজেই নিয়মিত মিড ডে মিলের তরকারি রান্নার কাজ চলছে, আবার কোথাও পড়ুয়াদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সুষ্ঠু পঠনপাঠন, শিক্ষার পরিবেশ, স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত এরকমই ৬৫টি বিষয়ে পারদর্শিতার জন্য এ বছর উত্তর দিনাজরের একটি হাইস্কুল ও দু’টি প্রাথমিক স্কুলকে শিশুমিত্র পুরস্কার দেবে রাজ্য শিক্ষা দফতর।

ওই তিনটি স্কুল হল, রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিন হাইস্কুল, বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মহাদেবপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও করণদিঘি ব্লকের দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাতিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কাল, শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মহাজাতি সদনে ওই তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের হাতে শিশুমিত্র পুরস্কার তুলে দেবেন বলে প্রশাসনের দাবি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ওই তিনটি স্কুলকে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেই সূত্রেই রাজ্য শিক্ষা দফতরের একটি প্রতিনিধি দল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্কুলগুলি পরিদর্শন করে। সেই ভিত্তিতেই ওই তিনটি স্কুলকে শিশুমিত্র পুরস্কারের জন্য ঠিক হয়েছে।

বাহিন হাইস্কলের প্রধানশিক্ষক বিল্বনাথ পালের দাবি, পড়ুয়া, অভিভাবক, এলাকার বাসিন্দা ও পরিচালন সমিতির সহযোগিতা ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার তিনটি স্কুলের পক্ষে এতবড় সাফল্য পাওয়া সম্ভব ছিল না।

বাহিন হাইস্কুলে স্কুলছুট রুখতে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে সহপাঠীরাই তাদের বাড়িতে হাজির হয়ে স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরায়। এ ছাড়াও, ওই স্কুলটি ক্লাসরুম, বেঞ্চ, শৌচাগার, স্কুলচত্বর নিয়মিত সাফাইয়ের কাজেও নজর কেড়েছে। পঠনাঠনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে স্কুল চত্বরে ফুলের বাগান তৈরি ও পড়ুয়াদের বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামো তৈরির কাজেও সফল ওই স্কুল।

পশ্চিম মহাদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের চাষ করা আনাজেই পড়ুয়াদের মিডডে মিলের তরকারি রান্নার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও ওই স্কুলে শিক্ষক ও পড়ুয়ার গড় হাজিরা ৯৯ শতাংশ।

ধাতিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ পড়ুয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার সংখ্যালঘু শিক্ষার প্রসারের কাজেও ওই স্কুল গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে শিক্ষাকর্তাদের দাবি।

School Sishumitra শিশুমিত্র
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy