প্রতীকী ছবি।
কেউ বহরামপুর যাবেন। কারও গন্তব্য রায়গঞ্জ। কারও আবার আলিপুরদুয়ারের বাস দরকার। কিন্তু, শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে সরকারি বা বেসরকারি বাস কোনওটাই পর্যাপ্ত নেই। শুক্রবার এমনই অবস্থা দেখা গেল সেখানে।
রাতভর কেউ থাকলেন টার্মিনাসের ভিতরে। কাউকে থাকে হল হোটেলে। কারণ, ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের জন্য বাস ভাড়া নিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনেকেই। সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি থেকেই অন্তত ২০টি বাস গিয়েছে। বাকি জেলা থেকে গিয়েছে আরও ৩০টি। ৫০টি বাস কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
এ দিন সন্ধেয় বাস টার্মিনাসে অপেক্ষা করছিলেন বিচিত্র সেন, নিখিল বিশ্বাস। তাঁরা আলিপুরদুয়ার যাবেন। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় টার্মিনাস থেকেই আলিপুরদুয়ার যাওয়ার বাস ধরেন তাঁরা। কিন্তু শুক্রবার পাওয়া যায়নি বলে জানান তাঁরা। বিচিত্র বলেন, ‘‘ব্রিগেডের জন্য বাস রিজার্ভ করা হয়েছে শুনলাম। তাই উত্তরবঙ্গের নানা রুটের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছি।’’
সকালে চিকিৎসক দেখাতে শিলিগুড়ি এসেছিলেন জীবন ভৌমিক। তিনি সন্ধে পর্যন্ত বাস না পেয়ে টার্মিনাসের ভিতরে আশ্রয় নেন। বলেন, ‘‘বেসরকারি বাস নেই। সরকারি বাসেরও সমস্যা। রাতটা থাকতে হচ্ছে।’’
শিলিগুড়ি সার্কেলের ইসলামপুর ডিপো থেকে দু’টি সরকারি বাস ব্রিগেড সমাবেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে এনবিএসটিসি সূত্রে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকা থেকে আরও ১৫টি সরকারি বাস কলকাতায় যাওয়ার জন্য ভাড়া করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি বিকাশ সরকার জানান, ট্রেনের টিকিট যাঁরা পাননি, তাঁরা অনেকে মিলে আস্ত বাস ভাড়া করেছেন।
এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবল রায় জানান, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুট থেকে কলকাতায় যাওয়ার বাস রয়েছে। সেই বাসগুলোয় অনেকে ব্রিগেডে যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ বাসই চালু রয়েছে।’’ নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার্স ট্রান্সপোর্ট ওনার্স কো অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক প্রণব মানি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি থেকে ২০টির বেশি বাস ব্রিগেডে গিয়েছে। সেগুলো ফিরে না আসা পর্যন্ত বেসরকারি বাসের সমস্যা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy