তৃণমূলের মহামিছিলে সমর্থকদের নিয়ে যেতে বিএসএফের বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম ছোট গাড়োলঝোরা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য তরণীকান্ত বর্মনকে বিএসএফ ব্যাপক মারধর করে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ভোলানাথ বর্মন-সহ আরও ছ’জনকেও মারধর করা হয়। তরণীবাবু ও ভোলানাথবাবুকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে এবং বাকিদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বিএসএফের কোচবিহার রেঞ্জের এক আধিকারিক বলেন, “এক কোম্পানি কমান্ডারকে ঘটনাস্থলেপাঠানো হয়েছে।”
তরণীবাবু অভিযোগ করেন, এ দিন দুপুরে দিনহাটায় তৃণমূলের মহামিছিল ছিল। সে জন্য পঞ্চায়েতের নানা এলাকা থেকে গাড়িতে করে লোক মহকুমা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ছোট গাড়োলঝোরা একটি গাড়ি সমর্থকদের নিয়ে আসতে গেলে বিএসএফ গাড়ি আটকে দেয়। গাড়ির চালককে মারধর করে। ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে তরণীবাবু ও ভোলানাথবাবু সেখানে যান। বিএসএফের স্থানীয় অফিসারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে আচমকা তাঁদের উপর হামলা হয় বলে দাবি। দু’জনকেই মারধর করা হয়। দলের আরও কিছু সমর্থক সেখানে ছিলেন। তাঁদেরও মারধর করা হয়। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তরণীবাবু বলেন, “বিএসএফ এ ভাবে হামলা করবে ভাবতে পারিনি। কোনও কথা বলার সুযোগ দেননি ওঁরা। প্রচার সভায় লোক নিয়ে যেতে বাধা দিতেই এমন করা হয় বলে মনে হচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “সীমান্তে জেলা পরিষদের সদস্যের ওপর বিএসএফের ওই হামলা থেকে পরিষ্কার সাধারণ মানুষ কী ভাবে বসবাস করছেন। বিষয়টি বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জানান হয়েছে। আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy