আর্থিক অনিশ্চয়তা কাটাতে অব্যবহৃত জমির তালিকা তৈরি করে সম্পদ তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। সোমবার বিকেলে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে তারই রূপরেখা তৈরি করতে ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য তথা সদর মহকুমাশাসক কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বোর্ড সূত্রের খবর, বৈঠকে দেবোত্তরের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অব্যবহৃত জমির তালিকা তৈরির প্রস্তাব দেন কর্মীদের একাংশ। এমনকি ওই তালিকা অনুযায়ী অব্যবহৃত জমির পরিমাণ, ব্যবসায়িক গ্রহণযোগ্যতা খতিয়ে দেখে কী ধরনের সম্পদ তৈরি করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রকল্প তৈরির ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
জমির আয়তন বুঝে পুরানো অতিথি নিবাসের এক্সটেনশন , নতুন অতিথি নিবাস থেকে অনুষ্ঠান বাড়ি, দোকানের স্টল করার মত স্থায়ী সম্পদ তৈরি করার মত একাধিক বিষয় আলোচনায় ওঠে। সেক্ষেত্রে কোন দফতর থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক তথা দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ডের সদস্য অরুন্ধতী দে বলেন, “আয় বাড়ানোর ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয় নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অব্যবহৃত জমির তালিকা তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। জমির অবস্থান বুঝে সেখানে স্থায়ী সম্পদ তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়েও কথা হয়। সবই বোর্ডের বৈঠকে জানানো হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
জানা গিয়েছে, বোর্ডের স্বনির্ভরতার কথা ভেবে আয়ের সুযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে সম্প্রতি উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই ব্যাপারে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরিতে খোদ জেলাশাসক তথা বোর্ডের সভাপতি, সদর মহকুমা শাসককে দায়িত্ব দেন। তার জেরেই এ দিন বৈঠক হয়। দেবোত্তরের এক কর্মী জানান, বোর্ডের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা দেড় শতাধিক। বেতন দিতে ফি মাসে গড়ে ১৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পর্যটন দফতরের ওই বরাদ্দ গত ডিসেম্বর থেকে একাধিকবার অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ফলে বেতন পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন কর্মীরা। স্থায়ী সম্পদ তৈরি করে বিকল্প আয়ের সুযোগ বাড়ানো গেলে ওই ব্যাপারে দুশ্চিন্তাও অনেকটা কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy