রাজধানী এক্সপ্রেসে বসে বসেই রাজধানী দিল্লির এমন সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়ে যাব, স্বপ্নেও ভাবিনি। এনজেপি স্টেশনে দুপুরে নেমেই প্ল্যাটফর্মে পা রেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। জলের বোতল, কেক-বিস্কুট কিনতে গেলে দোকানি বলল, ‘‘ভাইজি উয়ো রুপিয়া নেহি চলেগা। সরকার বন্ধ কর দিয়া।’’ এক জন রেলের ক্যান্টিনে খাবারের জন্য যেতে বললেন, সেখানেই কোনওক্রমে ব্যবস্থা হল। মহিলা, শিশুদের বসিয়ে রেখে খোঁজখবর করার সময় একটা ছেলে কোথা থেকে এসে বলল, স্টেশনের সাজানো টয় ট্রেনের সামনে গেলে টাকা খুচরা হবে। তবে ৫০০ টাকায় ৪৫০ মিলবে। ভাবুন, রাতারাতি দালাল চক্রও নেমে পড়েছে। গাড়ির জন্য সামনে প্রিপেডে যেতেই গাড়ি পেলাম। চালক বলে দিলেন, ১/২ হাজার টাকার তেল একবারে ভরে নিতে হবে। যা তেল লাগবে তার সঙ্গে ভাড়ার টাকা মিলিয়ে হিসাব করব। যে যে হোটেলে থাকব ঠিক করেছি, সেখানে টেলিফোন করে অনলাইনে সব পেমেন্ট হবে কি না জানলাম। ঘুরতে গিয়ে অনলাইনের দোকান ছাড়া তো কেনাকাটাই করতে পারব না। মোমো পর্যন্ত খেতে পারব না। পকেটে টাকা অথচ তার দামই নেই। ১০ দিন পর বাড়ি ফিরে তো ব্যাঙ্কে লাইনও দিতে হবে। চালককে বলেছি, রাস্তায় বড় বড় হোটেল রেস্তোরাঁয় দাঁড়াও। বেশি বেশি টাকা, কর, সার্ভিস ট্যাক্স দিয়ে খাবার খাই। নিজেকে কেমন অসহায় মনে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy