Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় সড়কে ফের যানজট

মাস কয়েক আগের যন্ত্রণা আবার ফিরে এল। বল্লারপুরের জটে ফের জড়াল যানবাহন। মাস খানেক আগে, ফরাক্কার কাছে, বল্লারপুরের জাতীয় সড়কে রাতভর যানজটের জের ছড়িয়ে থাকত সকালেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০২:১২
Share: Save:

মাস কয়েক আগের যন্ত্রণা আবার ফিরে এল। বল্লারপুরের জটে ফের জড়াল যানবাহন।

মাস খানেক আগে, ফরাক্কার কাছে, বল্লারপুরের জাতীয় সড়কে রাতভর যানজটের জের ছড়িয়ে থাকত সকালেও। ফলে উত্তরবঙ্গগামী বাস থেকে মাল বোঝাই ট্রাক, দুধ থেকে খবরের কাগজ বোঝাই গাড়ি— সবই থমকে কাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেই জটের জের আঁচ ফের লাগল বল্লারপুরে। গত সোমবার থেকে তার জেরে ওই পথে গাড়ি চলছে প্রায় শামুকের গতিতে। মঙ্গলবার রাতে তার অবস্থা হয়েছে আরও ভয়াবহ। বুধবার বিকেল পর্যন্তও তার জেরে থমকে রয়েছে বহু যানবাহন।

বহরমপুর থেকে ফরাক্কার বল্লালপুর পর্যন্ত ১০৩ কিলমিটার রাস্তায় ফোর লেন- রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বল্লালপুরে। বল্লালপুরে একটি ২৫ মিটার লম্বা রেল উড়ালপুল তৈরির কাজও প্রায় শেষের মুখে। তবে তার গতি শামুকের মতো। বেইলি সেতুর ঠিক আগে থেকেই শুরু হয়েছে যানজট। ভারি যানবাহন যাতায়াতে বল্লালপুরের পুরোনো রাস্তাই ব্যবহার করতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামী গাড়িগুলিকে। খানাখন্দে ভরা সেই রাস্তা ফুঁড়েই রয়েছে রেল পথ। ঘন ঘন ট্রেনের যাতায়াতেও বন্ধ থাকছে বল্লালপুরে রেলগেট। একবার সেই গেট বন্ধ হলে লরি ও বাসের সেই যান জট ছাড়াতে সময় লাগছে বিস্তর।

সেখান থেকে নিউফরাক্কা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে নিত্যদিন ভারী মালবাহী গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে য়াচ্ছে সেখানে। রাস্তা থেকে তাদের সরাতেও লাগছে সময়।

জেলা প্রশাসনের অভিযোগ, ফোর লেন তৈরি হবে বলে সেই রাস্তা মেরামতিতেও গা নেই জাতীয় সড়ক কর্তপক্ষের। যানজট পেরিয়ে সবাই চাইছে আগে যেতে। পুলিশ থেকেও সেই যানজট নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণেই এই জট ছাড়তে সময় লাগছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

national highway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE