Advertisement
০৫ মে ২০২৪

রোগিণীর মৃত্যু ঘিরে হাসপাতালে উত্তেজনা

এক রোগিণীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সেবক রোডের ওই নার্সিংহোমে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩০
Share: Save:

এক রোগিণীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সেবক রোডের ওই নার্সিংহোমে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকের দাবি, কিডনির অসুখে আক্রান্ত শিলিগুড়ির গেটবাজারের বাসিন্দা প্রিয়া রাউত (৫৫)-কে সপ্তাহখানেক আগে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল।

সোমবার তাঁর ছুটি হওয়ার কথা থাকলেও স্বাধীনতা দিবসের দিন চিকিৎসক ছিলেন না বলে মঙ্গলবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে জানানো হয়। অথচ ভোরে নার্সিংহোম থেকে ফোনে জানানো হয় রোগীর পরিস্থিতি ভাল নয়। ছ’টা নাগাদ ফোন পেয়ে নার্সিংহোমে গিয়ে পরিবারের লোকেরা দেখেন রোগিণীকে আইসিইউ’তে নেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জানান তিনি মারা গিয়েছেন। এর পরেই গাফিলতির অভিযোগে সরব হন পরিজনেরা। রোগিণীকে কখন কী পরিস্থিতিতে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তা জানতে চান তাঁরা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর দাবি তোলেন।

রোগিণীর পরিবারের দাবি মেনে পরে সিসিটিভি ফুটেজও দেখান হয়। মৃতার ছেলে রাজেন্দ্র রাউত, বিনোদ রাউতরা জানান, সিসিটিভি ফুটেজে তাঁরা দেখেছেন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রোগিণীর পরিস্থিতি খারাপ হলে চিকিৎসককে ডাকা হয়। হৃদরোগের চিকিৎসক গিয়ে চুপ করে শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ, পরে রোগিণীকে আইসিইউ’তে নেওয়া হয়।

নার্সিংহোমের দায়িত্বে থাকা অশোক কুমার খান্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘রোগিণী হৃদরোগে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। তার থেকেই কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসাও করা হয়। এর মধ্যেই এ দিন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই রোগিণী। তাঁকে বাঁচানো যায়নি।’’ আরও কিছু জানার থাকলে না শুক্রবার পরিজনদের সব জানানোর আশ্বাস দিয়েছে নার্সিংহোম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Unrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE