ভোটার তালিকায় নাম বাদ যাওয়ায় ব্লক অফিসে নাগরিকেরা। নিজস্ব চিত্র
জীবিত থাকার পরেও নাম ‘নেই’ সংশোধিত ভোটের তালিকায়। শুক্রবার, এমনই অভিযোগ তুলে ভোটার কার্ড হাতে ব্লক অফিসে হাজির হলেন মালদহের কালিয়াচক ৩ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শ্মশানি গ্রামের ৪৪ জন বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, জীবিত থাকার পরেও পরিকল্পনা করে কে বা কারা সংশোধিত ভোটের তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম তোলার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কালিয়াচক ৩ ব্লকের বিডিও মামুন আকতার। তিনি বলেন, “ভোটের তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল। সে আবেদন কে বা কারা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এ ছাড়া, কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। মালদহের নির্বাচনী আধিকারিক সৌম্য ঘোষ বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
গত বছর ডিসেম্বরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ হয়। সে কাজ শুরু হতেই এই কালিয়াচক ৩ ব্লকে ভোটার তালিকায় ‘বাংলাদেশি’ নাগরিকের নাম থাকার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর পরে ৫ জানুয়ারি সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, কালিয়াচক ৩ ব্লকে সংশোধিত ভোটার তালিকায় দু’লক্ষ ৫৫ হাজার জনের নাম আছে। এ বার নতুন করে পাঁচ হাজার জনের নাম উঠেছে। আর দু’হাজার নাম বাদ গিয়েছে। অভিযোগ, নাম বাতিলের তালিকায় কালিয়াচক ৩ ব্লকের গোলাপগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শ্মশানি গ্রামের ৪৪ জন রয়েছেন।
এ দিন ওই ৪৪ জন ভোটার কার্ড হাতে নিয়ে ব্লক অফিসে হাজির হন। তাঁদেরই এক জন কুদুশ মিয়াঁ বলেন, “বুথ লেভেল অফিসারের কাছ থেকে জানতে পারি, আমাদের নাম ভোটের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আমাদের মৃত বলে দেখানো হয়েছে। অথচ, আমরা বেঁচে আছি।” কেন নাম বাদ পড়ল, প্রশ্ন করেন তিনি। আরও এক বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, “আমাদের নাম বাদ দেওয়ার পেছনে পরিকল্পনা রয়েছে। নাম বাতিলের বিষয়ে আমরা তদন্ত চাই।”
তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। কালিয়াচক ৩ ব্লকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন বলেন, “নাম বাতিলের পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে। এক সঙ্গে গ্রামের ৪৪ জনের নাম বাতিলের বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জান্নাতুন ইসলাম বলেন, “আমরাও চাই, প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy