ফের অজানা জ্বরে মৃত্যু হল দক্ষিণ দিনাজপুরে। হাসপাতাল মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি বলে মানতে না চাইলেও মৃতের পরিবারের সন্দেহ ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
এই দাবি তুলেই ব্লক হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তাঁরা।
কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওড় অঞ্চলের নেত্রডাঙা এলাকার বাসিন্দা তাপস রায় (৩৫) মাত্র দু’দিনের জ্বর নিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় স্থানীয় বরাহার ব্লক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। খিঁচুনি বেড়ে যাওয়ায় রাতে তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাত ২টো নাগাদ তাপসবাবু সেখানে মারা যান। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘মৃতের রক্ত পরীক্ষার সুযোগ মেলেনি। তবে জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ কমছে। জ্বর নিয়ে দীর্ঘ দিন বাড়িতে পড়ে থাকলে সমস্যা জটিল আকার নেয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে।’’
পুজোর আগে থেকেই জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত জেলায় চার জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি অজানা জ্বরে মারা গিয়েছেন আরও ১৪ জন। কুমারগঞ্জের তাপসবাবুকে নিয়ে জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। বিরূপ আবহাওয়া এবং ডেঙ্গি নিয়ে গ্রাম স্তরে সচেতনার প্রচারে পঞ্চায়েতগুলির ঢিলেমির মাসুল সাধারণ মানুষকে দিয়ে হচ্ছে বলে এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি। তাঁর মতে, গত বছর এ সময় শীত পড়ে গিয়েছিল।
এ বার এখনও দিনের বেলা প্রচণ্ড রোদে গরম থেকে গিয়েছে। সন্ধের পর থেকে হালকা ঠান্ডা পড়ছে। মশার বাড়বাড়ন্তের জন্য এমন আবহাওয়া আদর্শ। সে তুলনায় ধারাবাহিক রোগ সচেতনতার প্রচার এবং মশা নিধনে উপযুক্ত ব্যবস্থা পঞ্চায়েত নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।
এ দিন জ্বরে মৃত কুমারগঞ্জের তাপসবাবুর বাবা দ্বিজেন রায় অভিযোগ করেন, ‘‘সন্ধে ৭টা নাগাদ ছেলেকে বরাহার ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তারবাবুর লিখে দেওয়া ইঞ্জেকশন কিনে এনে দেওয়া হয়। তার পরই ছেলের খিঁচুনি হতে থাকে। বমিও করে। তার পর আরও এক বার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। খিঁচুনি ও বমি বেড়ে গেলে ছেলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে ডাক্তার সন্দেহ করে ও বালুরঘাট হাসপাতালে রেফার করে।’’