চলছে অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
অসমে আদিবাসীদের খুনের ঘটনার প্রতিবাদ করে ও নিহত এবং জখমদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে বুধবার সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো আদিবাসী বাসিন্দা। আদিবাসীদের সংগঠন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের তরফে আন্দোলনকারীরা তীর, ধনুক, বল্লম ও লোহার তৈরি নানা অস্ত্র নিয়ে পথ অবরোধ করেন। আদিবাসী রাষ্ট্রীয় নেতা সালখান মুর্মুর ডাকে এ দিন দেশজুড়ে ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘট ও চাক্কাজ্যামের কর্মসূচী ছিল আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠনের। সেই কর্মসূচি সফল করতেই এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ আদিবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। পুলিশ বহু অনুরোধ করেও পথ অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা আশঙ্কা করে পুলিশ জোর করে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেনি! তবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধ করার কথা থাকলেও পুলিশের অনুরোধে দুপুর ২টায় অবরোধ তুলে নেন আদিবাসীরা।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ কমিটির সভাপতি বাবলু সোরেন ও সহ-সভাপতি লক্ষ্মীরাম বেসরা জানান, অবিলম্বে অসমে আদিবাসীদের গণহত্যা বন্ধ করা, নিহত ও জখম আদিবাসীদের ১০ লক্ষ ও ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, দুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্থ আদিবাসীদের নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া সহ তাঁদের খাবার ও পোশাকের ব্যবস্থা করা সহ আসমের সমস্ত আদিবাসীকে তপশিল জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে এদিন পথ অবরোধ করা হয়!
এদিন আদিবাসীদের পথ অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি ও বালুরঘাট রুটে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। অবরোধে আটকে পড়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়িগামী বহু বাস ও ট্রাক। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা নন্দদুলাল কর্মকার তাঁর স্ত্রী রেখাদেবীকে চিকিত্সা করিয়ে একটি বেসরকারি বাসে চেপে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন। সেই বাসটিও অবরোধের জেরে আটকে পড়েয় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী নন্দদুলালবাবু বলেন, “শহরের মধ্যে অবরোধ হওয়ায় বিভিন্ন বাসের যাত্রীদের খাবার ও পানীয় জলের অভাব না হলেও দীর্ঘক্ষণ বাসে আটকে থেকে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেছেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকায় আমার স্ত্রীও বাসে অসুস্থ বোধ করেছেন। এভাবে পথ অবরোধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে কারওর উন্নতি হবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy