গত পঞ্চায়েত নিবার্চনে সুজাপুরের বিধানসভার ৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৫টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে কংগ্রেস প্রার্থীই দিতে পারেনি। বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটে সেই সুজাপুরের ৯০ শতাংশ বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পেরে দিনের শেষে খুশি দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী বা ডালুবাবু। আর এরজন্য আধা সামরিক বাহিনীকেই পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন ডালুবাবু। এদিন ওই বিধানসভারই নওদা যদুপুর এবং মোজামপুর এলাকায় সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটে পযর্ন্ত ১২টি বুথ প্রায় সাতঘন্টা ধরে ‘আগলে’ রেখেছিলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাগুলিকে ঘিরে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল।
ভোট গ্রহণ শেষ স্বস্তির হাসি হেসে ডালুবাবু বললেন, “আধা সামরিক বাহিনী না থাকলে এবারেও ওই পঞ্চায়েতের মত একই হাল কংগ্রেসের হত। গত পঞ্চায়েত নিবার্চনে সুজাপুরের ওই এলাকায় পোলিং এজেন্ট তো দূরের কথা আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। এবার সেখানে ৯০ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছি। আমাদের ভোটাররা নিশ্চিন্তে ভোট দিয়েছেন।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, সুজাপুরের ২১২টি বুথের মধ্যে কেবলমাত্র নওদা যদুপুরে ১৮টি বুথে এবং মোজামপুরে ১২টি বুথে দল এজেন্ট দিতে পারেনি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেছেন, “ভোটের আগে থেকেই ডালুবাবু সন্ত্রাস-সন্ত্রাস বলে চিৎকার করছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভোট নির্বিঘ্নে হওয়ার পর এখন ডালুবাবুর মুখে আর কথা নেই।” তৃণমূল বিরোধীদের অভিযোগ, সুজাপুরের বেশিরভাগ বুথে ভোট নির্বিঘ্নে হলেও মোজামপুর ও নওদা যদুপুরে যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। প্রকাশ্যে সন্ত্রাস চোখে না পড়লেও সর্বত্র ছিল চাপা সন্ত্রাস। দুই এলাকার ৩০টি বুথে না দুই দলের কোনও এজেন্ট ছিল না বলে অভিযোগ। সাবিত্রীদেবী বলেন, “মোজামপুরের সবাই তৃণমূল করে। কংগ্রেস, সিপিএম এজেন্ট পাবে কোথা থেকে? এজেন্ট না পেয়ে ওঁরা সন্ত্রাসের গল্প শোনাচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy