Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

একসুরে মোয়াজ্জেম বিরোধিতা দুই মন্ত্রীর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা পারেননি, তাই যেন করে ফেলেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। লোকসভা ভোটের মুখে মালদহে প্রচারে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং ইংরেজবাজার পুরসভার উপপুরপ্রধান দুলাল সরকারকে এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে বলে গিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৯
Share: Save:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা পারেননি, তাই যেন করে ফেলেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

লোকসভা ভোটের মুখে মালদহে প্রচারে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং ইংরেজবাজার পুরসভার উপপুরপ্রধান দুলাল সরকারকে এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এই তিন জনের বিবাদ মেটেনি। পরে সাবিত্রীদেবীকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয় মোয়াজ্জেমকে। এ বার সেই মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধেই যেন ‘একজোট’ হলেন সাবিত্রীদেবী, কৃষ্ণেন্দুবাবু এবং দুলালবাবুও। প্রায় চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে, সুকান্ত মোড়ের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে জেলা দফতর খুলে কাজ করছেন মোয়াজ্জেম। কিন্তু সাবিত্রীদেবী, কৃষ্ণেন্দুবাবু বা দুলালবাবুর কেউই সেখানে এখনও পর্যন্ত পা রাখেননি। মোয়াজ্জেম হোসেনের দাবি, “কেউ যদি পার্টি অফিসে না আসেন, আমি কী করতে পারি?”

কৃষ্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সাংগঠনিক কাজের জন্য জেলার দুই মন্ত্রীকে নিয়ে পাঁচ জনের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দলনেত্রী জেলা সভাপতিকে জেলার দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সংগঠনের সমস্ত কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “কিন্তু জেলা সভাপতি আমাদের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নিজের ইচ্ছেমতো জেলায় কাজ করছেন।” তাঁর অভিযোগ, “দায়িত্ব নিলে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু জেলা সভাপতি নিজের দায়িত্ব পালন করছেন না। জেলা পার্টি অফিস কোথায় আমি জানিই না। আমি আমার নিজস্ব পার্টি অফিস থেকে যতটা পারছি দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পালন করছি।” তাঁর দাবি, “দল কোন পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনছে, কোন পঞ্চায়েতে কোন দলের সদস্যকে দলে নেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে জেলা সভাপতি আমার সঙ্গে কোনও আলোচনাই করছেন না।”

সাবিত্রীদেবীও বলেন, “কী ভাবে সংগঠন করতে হয় মোয়াজ্জেম হোসেন কিছুই জানেন না। সংগঠনের ব্যাপারে জেলা সভাপতি আজ পর্যন্ত আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন নি। জেলা সভাপতি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন।” দুলালবাবু আবার জেলা সভাপতির পাশাপাশি জেলার দুই মন্ত্রীকেও এক হাত নিয়ে বলেন, “পাঁচজনের কমিটির মধ্যে আমিও একজন সদস্য। অথচ আজ পর্যন্ত জেলা সভাপতি আমাকে একবারের জন্যও পার্টি অফিসে ডাকেননি। কোথায় পার্টি অফিস আমি জানি না। জেলা পার্টির কি কর্মসূচি? কোথায় কী হচ্ছে, কিছু জানানো হচ্ছে না। এখানে পার্টি চলছে না। যে যাঁর নিজের নিজের প্রচার চলাচ্ছেন। দুই মন্ত্রী লালাবাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দলের জন্য কেউ কাজ করছেন না।”

জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে কংগ্রেস, সিপিএম থেকে এক হাজারের বেশি কর্মী ও নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের কাছে থেকে তৃণমূল দখল করেছে। তাঁর দাবি, শীঘ্রই জেলার আরও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূল দখল করবে। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, অল্প দিনের মধ্যেই দলের কর্মসূচিতে সকলকে আলোচনায় ডাকা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

moazzem hossain mamata party clash malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE