চকচকা শিল্পকেন্দ্রে চটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কোচবিহারের বাণিজ্যমহল। সমস্যা মেটাতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। ওই ইস্যুতে একযোগে সরব হয়েছেন জেলার ব্যবসায়ী সমিতি ও শিল্পোদ্যোগীদের সংগঠন কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। ওই ব্যাপারে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেরও দাবি করেছেন তারা। দ্রুত কারখানা চালুর দাবি তুলেছেন শ্রমিকরাও। গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বের। সংগঠনের দাবি, ওই কারখানার একশো শতাংশ শ্রমিক তাদের সদস্য। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা শুক্রবার বলেন, “শীঘ্রই ওই চটকলটি চালুর ব্যাপারে আমাদের তরফেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হচ্ছে।”
ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোগী সংগঠনগুলির বক্তব্য, কোচবিহার এমনিতেই শিল্পবিহীন জেলা হিসাবে পরিচিত। জেলার একমাত্র শিল্পতালুক চকচকায় নানা সমস্যায় আগেও একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই চটকলটিতে সেরকম কোনও সমস্যা ছ্লিনা। প্রায় ৬০০ শ্রমিক এই চটকলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শ্রমিকদের একাংশের গরহাজিরার সমস্যায় চটকলটি বন্ধ হয়ে গেলে বাইরের শিল্পোদ্যোগীদের কাছে কোচবিহার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত শ্রমিকদের একাংশও। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুব্রত সাহা বলেন, “চকচকা শিল্পতালুক চত্বরে ওই চটকলটি এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা। চটকলটির সঙ্গে ছ’শো পরিবারের রুটিরুজির সংস্থান জড়িয়ে রয়েছে।” ওই ঘটনার জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছে সিটু। সিটুর কোচবিহার জেলা সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত বলেন, “গোটা রাজ্যেই শিল্পের অনুকূল পরিবেশ নেই। বাম জমানায় চালু ও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠা চকচকার চটকল বন্ধ হয়ে যাওয়া তারই নমুনা।”
রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওই চটকলের সমস্যা সাময়িক বিষয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। আলোচনা হলে সেটি চালু হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy