মোমবাতি মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
সেবক রোডের যুবক দীপঙ্কর রায়ের খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত মনকুমার রাইয়ের এখনও কোনও হদিশ পায়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সোনু প্রধানকে জেরা করে মনকুমারের খোঁজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত সোনু মনকুমার অন্যতম সঙ্গী হিসাবে এলাকার পরিচিত রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় দুই জনকে একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যেত। এমনকি, মনকুমারের কাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, কোথায় কোথায় যেতেন তার অনেক কিছুই জানেন সোনু। সেক্ষেত্রে তাকে টানা জেরা করেই মনকুমারের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ।
এদিন সোনুকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনার পর থেকে তিনি কোথায় ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশে সন্দেহ, মনকুমারের সঙ্গেই ছিল সোনু। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। মনকুমারের খোঁজ চলছে।” এদিন সন্ধ্যায় খুনের ঘটনার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শিলিগুড়ির সেবক রোডে মোমবাতি মিছিল করেন।
তবে পুলিশের ভূমিকায় এখনও ক্ষোভ রয়েছে নিহতের পরিবারের। নিহত দীপঙ্করের দাদা দেবাশিসের বক্তব্য, “সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। থানার সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে ভাইকে গিয়ে খুন করা হল, এটা ভাবাই যায় না। পুলিশের আর কতদিন লাগবে তা আমরা বুঝতেই পারছি না।” অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে স্বামীর খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত মনকুমার রাইয়ের স্ত্রী সুনীতাদেবী। তিনি বলেন, “ঘটনার পর থেকে মনকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। বাড়িতে পুলিশের সামনেই আগুন লাগানো হল, পুলিশ এখনও কাউকে ধরলই না।”
৪ জানুয়ারি, রবিবার শিলিগুড়ির সেবক রোড লাগোয়া মহানন্দা নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সরকারপাড়ার বাসিন্দা দীপঙ্করের মৃতদেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy