কোচবিহার পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান বাছাইয়ের জন্য ২৭ অগস্ট নির্ধারিত বোর্ড মিটিং ঘিরে গোলমালের আশঙ্কা করছে তৃণমূলেরই একাংশ। ওই সভার সূচি জানিয়ে ইতিমধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন পুরসভার কার্যনিবাহী চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ। পুলিশ সুপারকে লেখা ওই চিঠির প্রেক্ষিতেই গোলমালের আশঙ্কার বিষয়টি উঠে এসেছে। আমিনা আহমেদ অবশ্য বলেন,“এতটুকু গোলমালের আশঙ্কা নেই। সেরকম কিছু ভেবে পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের কর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাতেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগেও চেয়ারম্যান বাছাইয়ের জন্য বৈঠকের সময় বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।”
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য পুলিশ সুপারকে বোর্ড মিটিংয়ের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গে সাফ বলেছেন,“ না বুঝে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।” আর স্ত্রী আমিনা আহমেদের পাশে দাঁড়িয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অপর নেতা আবদুল জলিল আহমেদ বলেন,“এসপিকে বৈঠকের কথা আগাম জানানো যেতেই পারে, এতে দোষের কিছু নেই।”
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বোর্ড মিটিং শুরু হবে। যদিও বৈঠকের তিন দিন আগেও বীরেন কুণ্ডুর প্রয়াণে খালি হওয়া কোচবিহারের পুরসভার চেয়ারম্যান পদে কে দায়িত্ব পাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়নি। দলের ন’জন কাউন্সিলর আগেই দীপক ভট্টাচার্যকে কার্যনিবাহী চেয়ারম্যান পদে বসানোর দাবিতে প্রশাসনকে চিঠি দেয়। কাউন্সিলরদের একাংশ আবার আমিনা আহমেদকে ওই পদে পাকাপাকি ভাবে দেখতে চেয়ে দরবার শুরু করেছেন। বীরেনবাবুর মৃত্যুর পর থেকে এনিয়ে চাপানউতোর চলছে। সম্প্রতি আমিনা আহমেদ কার্যনিবাহী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিতে গেলে পুরসভায় ঢোকার মুখে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ওই ঘটনা গোষ্ঠীকোন্দলের জের। তাই পুরসভার তরফে আমিনা আহমেদ পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠানোয় ফের গোলমালের আশঙ্কা গাঢ় হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, “সবাই একছাতার নীচে রয়েছেন। রাজ্য নেতৃত্বই নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঠিক করবে।”
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ২০। বীরেনবাবুর প্রয়াণে কাউন্সিলর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪ জন ও বামফ্রন্টের পাঁচ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, সোমবার আলোচনা করে বোর্ড মিটিং নিয়ে পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। জেলার পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব অবশ্য বলেন, “ওই চিঠি এখনও হাতে পাইনি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy