পুরভোটের আগে শহরের পানীয় জল প্রকল্প উদ্বোধন ঘিরে সুর চড়াল বিরোধীরা। রবিবার বিকেলে পুরাতন মালদহ পুরসভার লোলাবাগ এলাকায় বহু প্রতীক্ষিত পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। বিরোধীরা এ দিনের কর্মসূচিকে ‘নির্বাচনী চমক’ বলে কটাক্ষ করেছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) দেবতোষ মণ্ডল, পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান বিভুতিভূষণ ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান স্বাধীন ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনও কাউন্সিলরই উপস্থিত ছিলেন না। যদিও এই প্রকল্পকে নিজেদের উদ্যোগে করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট দু’পক্ষই।
পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে পুরাতন মালদহ পুরসভায় পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তত্কালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিন বছরের মধ্যে এই জল প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কেন্দ্রের জেএনইউআরএম প্রকল্পে প্রথমে ২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়। পরে এই প্রকল্পের টাকা বাড়িয়ে ৩৪ কোটি করা হয়। মহানন্দা নদী থেকে জল তুলে পরিশ্রুত করে তা বাড়িতে বাডিতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই পুরসভার ১৮টি ওর্য়াডেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তা মেটানোর জন্যই এই উদ্যোগ হয়েছিল বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নূর বলেন, “কেন্দ্রে কংগ্রেস থাকার সময় এই প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ্য করা হয়েছিল। সেই সময় আমরাই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পুরবাসীর জন্য জল প্রকল্প করতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। আমাদের আমন্ত্রিত করাতো দুর অস্ত, আমাদেরকে জানানওনি তাঁরা।’’ প্রকল্পের কৃতিত্ব দাবি করেছে বামেরাও। পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বামফ্রন্টের বিশ্বনাথ শুকুল বলেন, “আমরা এই প্রকল্পের কাজ অধিকাংশ শেষ করে দিয়েছিলাম। মাত্র এক শতাংশ বাকি ছিল। তৃণমূল ভোটের আগে আমাদের প্রকল্পকে নিজেদের দাবি করে উদ্বোধন করল।”
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ ঘোষ। তিনি বলেন, “তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে তারা সাতবছর সময় লাগিয়েছে। আমরা মাত্র ন’মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে পুরবাসীর জন্য জল প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম। বিরোধীরা হালে পানি পাওয়ার জন্য এখন এমন কথা বলবেন।”
প্রথমদিকে দ্রুত গতিতে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও পরে কখনও ঢিমে তালে কাজ হয়, কখনও থমকেও যায়। তাই পুরবাসীর মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছিল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও ১০ শতাংশ এলাকায় পাইপলাইন পোঁতার কাজ শুরুই হয়নি। চেয়ারম্যান বলেন, “কিছু কাজ বাকি রয়েছে। খুব শীঘ্রই করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy