কুয়াশা ঢাকা শিলিগুড়ি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
রাত থাকতেই কুয়াশায় মুখ ঢেকেছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেরও বাগডোগরা বিমানবন্দরে ৯টি উড়ান বাতিল করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এদিন বাগডোগরা থেকে ১২টি বিমান ওঠানামার কথা ছিল। এরমধ্যে দিল্লি থেকে ৩টি বিমান ছাড়া অন্য কোনও বিমানই বাগডোগরায় আসেনি। এই বিমানগুলির কলকাতা থেকে আসার কথা ছিল। বুধবারও একই কারণে বাগডোগরা থেকে ১৫টি উড়ানের মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা স্বাভাবিকের (২০০০ মিটার) নিচে নেমে যায়। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ৫০০ মিটার। সেই সময় বিমানবন্দরে কোনও বিমান অবতরণ করতে পারেনি। পরের দিকে আবহাওয়া একটু ভাল হলে সওয়া ১টা নাগাদ দৃশ্যমানতা বেড়ে দাঁড়ায় ২১০০ মিটার। তখন ১০ মিনিটের ব্যবধানে অবতরণ করে দিল্লি থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া, জেট এয়ারওয়েজ ও গো এয়ারের বিমান। তবে, পৌনে ৩টে থেকে আবহাওয়া খারাপ হলে ফের দৃশ্যমানতা ২০০০ মিটারের নিচে নেমে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ফলে, দিনের ১২টি উড়ানের বাকি ন’টি উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়।
কুয়াশার কারণে বিমান বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। কলকাতা থেকে বাগডোগরা আসার জন্য টিকিট কাটা অনেক যাত্রীরই এ দিন গুয়াহাটি, দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর যাওয়ার কথা ছিল। তাঁদের অনেকেই বাসে, ট্রেনে করে কলকাতায় রওনা হন বলে জানা গিয়েছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর রাকেশ সাহায় এ দিন জানান, বৃহস্পতিবারের পরিস্থিতি বুধবারের থেকেও খারাপ ছিল। ফলে, এ দিন আগে থেকেই বাগডোগরা থেকে বিভিন্ন বিমানবন্দরকে খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য, অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কোনও বিমানবন্দর থেকেই ওড়েনি বাগডোগরাগামী বিমান। রাকেশবাবু বলেন, “সব থেকে খারাপ লাগছে যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে। মঙ্গলবার যে উড়ানগুলিকে বাগডোগরার পরিবর্তে গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়, তার যাত্রীরাও অপেক্ষায় রয়েছেন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় তাঁরা এ দিনও আসতে পারেননি।” তিনি আরও জানান গুয়াহাটিতে আটকে পড়া যাত্রীদের কয়েকজনের সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলেছেন। ওই যাত্রীদের টিকিটের টাকা পুরো ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিরেক্টর। বাগডোগরা বিমানবন্দরে ইনস্ট্রুমেন্টাল লান্ডিং সিস্টেম না থাকায় প্রতিবছরই এই সমস্যা তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy