Advertisement
১৭ মে ২০২৪

মাধ্যমিকের ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরে এগিয়ে ছাত্রীরা

মাধ্যমিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে এ বছর ছাত্রদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ছাত্রীরা। স্কুলগুলির মেধা তালিকা থেকে দেখা গিয়েছে, জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরের তালিকায় মেয়েদেরই জয়জয়কার। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল থেকে শহরের নামী স্কুল সর্বত্র এক ছবি।

পরিজনের সঙ্গে রিমি। —নিজস্ব চিত্র।

পরিজনের সঙ্গে রিমি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০১:৩৮
Share: Save:

মাধ্যমিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে এ বছর ছাত্রদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ছাত্রীরা। স্কুলগুলির মেধা তালিকা থেকে দেখা গিয়েছে, জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরের তালিকায় মেয়েদেরই জয়জয়কার। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল থেকে শহরের নামী স্কুল সর্বত্র এক ছবি। গঙ্গারামপুর গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী আবসানা রিমি তমান্না ৬৬৯ নম্বর পেয়ে জেলায় প্রথম স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয় পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী নবনীতা দাস। তার নম্বর ৬৬৭ নম্বর। এরপরেই বালুরঘাট গার্লসের ছাত্রী অনন্যা নাথ ৬৬১, হরিরামপুরের বেটনা রামকৃষ্ণপুর হাইস্কুলের ছাত্রী নৈরিতা মিত্র ৬৫৮, বংশীহারি হাইস্কুলের ছাত্রী রিয়া সরকার ৬৫২, কুশমন্ডি হাইস্কুলের ছাত্রী ওয়াহিদা রহমান ৬৩৫, কুমারগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী সংযুক্তা ঘোষ ৬২৭, হিলি ব্লকের তিওড় কৃষ্ণাষ্ঠমী হাইস্কুলের ছাত্রী সুদীপা লাহা ৬২৫ এবং বংশীহারির সুদর্শননগর পিএইচভি হাইস্কুলের ছাত্রী তমান্না পারভিন ৫৮৭ নম্বর পেয়েছে। গত দুবছরে মাধ্যমিকে ছাত্রদেরই দাপট বেশি ছিল।

গঙ্গারামপুর গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী আবসানা রিমি তমান্নার প্রায় সব বিষয়ে গৃহশিক্ষক ছিল। তবে বালুরঘাট থানার গঞ্জ এলাকা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের দ্বিতীয় সফল ছাত্রী নবনীতা কিংবা বংশীহারির হাইস্কুলের সফল ছাত্রী রিয়া, কুমারগঞ্জের সংযুক্তাদের কথায়, “নিয়মিত স্কুলে ক্লাস করেছি। বাড়িতে নিয়ম মেনে পড়েছি। দু-তিন জনের বেশি গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হয়নি।” গঙ্গারামপুর গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা মুক্তি চৌধুরী চক্রবর্তী কিংবা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা পিউকা সরকার বলেন, “মেয়েরা অনের বেশি মনযোগী। গার্লস স্কুলগুলিতে ক্লাসও বেশি হয়েছে। পড়ুয়ারা উপকৃত হয়েছে।”

হিলি সীমান্তের তিওড় কৃষ্ণাষ্ঠমী হাইস্কুলের দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রী সুদীপা লাহা ৬২৫ নম্বর পেয়েছে। সুদীপার ভাই রাজদীপ লাহাও ৬১৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে। সুদীপাদের বাবা শুভেন্দুবাবু হাটে হাটে তালাচাবি সারাই করেন। সামান্য রোজগার করেন। দুই ছেলেমেয়েকে তিনি কোনও গৃহশিক্ষকই দিতে পারেননি। স্কুলের পড়া এবং নিজেদের চেষ্টায় দুই জনে এই রেজাল্ট করেছে। জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক তথা তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের দাবি, “রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের জন্য মেয়েরা এখন বেশি করে স্কুলমুখী। তাই এত ভাল ফল করেছে মেয়েরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

madhyamik result south dinajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE