বিকল ট্রান্সফর্মার। তাই গত এক মাস ধরে বিদ্যুৎহীন হরিশ্চন্দ্রপুরের বোড়ল এবং নবগ্রাম ডোকলাঘাট। বহু বার বলেও সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এই দুই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বিকল ট্রান্সফর্মার পাল্টানো ঘিরে এক শ্রেণির দালাল চক্র সক্রিয় হরিশ্চন্দ্রপুরে। ট্রান্সফর্মার বদলাতে নাকি বেশ কয়েক হাজারল করে টাকা দাবি করে তারা। এ দিন ঘণ্টা পাঁচেক ঘেরাও চলার পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ দফতরের কর্তাদের আশ্বাসে ঘেরাও ওঠে।
দুই বছর আগে বিদ্যুৎ পৌঁছেছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের বোড়ল এবং নবগ্রাম ডোকলাঘাটে। বোড়ল, বাঙাবাড়ি সহ পাঁচটি এলাকার জন্য কিসমত বোড়লে ২৫ কেভির একটি ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছিল। কিন্তু চাপ নিতে না পারায় প্রথম থেকেই চলছিল গন্ডগোল। ট্রান্সফর্মারটি মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাওয়ায় একটানা বিদ্যুৎহীন থাকত এলাকা। ২৯ মে ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মে মাসের শেষ থেকে বিকল ডোকলাগাট এলাকার ট্রান্সফর্মারটিও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে গিয়ে বার বার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। বোড়লের বাসিন্দারা জানান, এর মধ্যে একটি চক্রের কয়েকজন নিজেদের দফতরের কর্মীদের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি ক’রে প্রথমে তাদের কাছে ছয় হাজার টাকা চায়। পরে এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দেয় আরও। টাকা দিলে তবেই কাজ হবে বলে জানায় তারা।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি জামিল ফিরদৌস বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুর বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে এক শ্রেণির দালাল চক্র কাজ করছে বলে আমার কাছেও বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।” তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী কংগ্রেস দলনেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডলও অভিযোগ করেন, “আগেও ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ার পর টাকা দিয়েই বাসিন্দাদের কাজ করাতে হয়েছে। ২৫ কেভির জন্য ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। এ বার ৬৩ কেভির জন্য আরও বেশি টাকা চাওয়া হচ্ছে।”
বন্টন কোম্পানির হরিশ্চন্দ্রপুরের স্টেশন ম্যানেজার সন্দীপ দাস অবশ্য দালাল চক্রের অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, বোড়লে ৬৩ কেভির ট্রান্সফর্মার প্রয়োজন। তাই কিছুটা দেরি হচ্ছে। দুটো এলাকাতেই যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয় তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দোকান চালু। নায্য মূল্যে ওষুধের দোকান চালু হচ্ছে দিনহাটায়। আজ মঙ্গলবার দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে দোকানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তাতে পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলাশাসক পি উল্গানাথন প্রমুখ হাজির থাকবেন, হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল জানিয়েছেন, পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে দোকানটি চালু করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy