Advertisement
০৪ মে ২০২৪
চার পঞ্চায়েত মিলে মঞ্চ হরিশ্চন্দ্রপুরে

রাস্তা পাকা করার দাবি, বন্ধের ডাক

প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও ফল হয়নি কোনও। তাই চারটি কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ডাকঘর বন্ধ করে আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা।

এই রাস্তা পাকা করার দাবিতেই আন্দোলন। বাপি মজুমদারের তোলা ছবি।

এই রাস্তা পাকা করার দাবিতেই আন্দোলন। বাপি মজুমদারের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৮
Share: Save:

প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও ফল হয়নি কোনও। তাই চারটি কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ডাকঘর বন্ধ করে আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা।

এরজন্য একটি অরাজনৈতিক মঞ্চও তৈরি করেছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। শুক্রবারও এলাকার ৫টি স্কুল, ৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও একটি ডাকঘরের সামনে পিকেটিং করে তা খুলতে দেননি আন্দোলনকারীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় তালগাছি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। রেশন দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এলাকায় পোস্টার, ব্যানার নিয়ে মিছিলও করেন বাসিন্দারা। রাস্তা নিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে প্রশাসন। তবে দাবি আদায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করায় তাঁদেরই বিপাকে পড়তে হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও কৌশিক পাল বলেছেন, “ওই এলাকাগুলোতে রাস্তার সমস্যা রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অথবা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে পাকা রাস্তা করা সম্ভব নয়। তবে ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। যাই হোক কী ভাবে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি নিয়ে প্রয়োজনে ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”

যে চারটি রাস্তা পাকা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কড়িয়ালি রাজেশ্বর মোড় থেকে জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসা পর্য়ন্ত ৭ কিলোমিটার, তালগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভৈরবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্য়ন্ত ৩ কিলোমিটার, কড়কড়িয়া থেকে মোতিলাল প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্য়ন্ত দু’কিলোমিটার এবং চিনার বিল থেকে হাসানপুর হয়ে তালগাছি পর্যন্ত দু’ কিলোমিটার রাস্তা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। রাস্তা না থাকায় কৃষিজাত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার সমস্যায় গ্রামেই কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়। এ ছাড়া মশালদহে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হরিশ্চন্দ্রপুরে যেতে নাভিশ্বাস ওঠে বাসিন্দাদের। সারা বছর ভাঙাচোরা ওই রাস্তাগুলো ধূলোয় একাকার হয়ে থাকে। বর্ষার মরসুমে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও রাস্তার দাবিতে জোট বেঁধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বাসিন্দারা। সামিল হন মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি, কমলাবাড়ি, ছঘরিয়া, হাসানপুর, আলমগঞ্জ, কড়কড়িয়া, ভালুকা পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর, দৌলতপুর পঞ্চায়েতের মোতিলাল ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভৈরবপুর এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ওই সময় প্রশাসনের কর্তারা এলাকায় গিয়ে রাস্তা পাকা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্বাসই সার। মঞ্চের সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, “বাধ্য হয়ে অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

muddy road harischandrapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE