টেলিফোনে কথা না বলায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ভাঙচুর চালিয়ে এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেসের সহকারি সভাপতি তুষারকান্তি গুহের বিরুদ্ধে। পাশপাশি, সনৎকুমার তলাপাত্র নামে ব্লাডব্যাঙ্কের ওই কর্মীর বিরুদ্ধেও এক রোগিণীর আত্মীয়ের কাছে টাকা দাবি করার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় ব্লাডব্যাঙ্কে। খবর পেয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
সনৎকুমারবাবুর অভিযোগ, “এদিন তুষারবাবু পাঠিয়েছেন বলে দাবি করে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয় ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে দুই ইউনিট বি-পজিটিভ রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তির কাছে রক্তদাতা বা রক্তের কার্ড আনার কথা বলি। তখন ওই ব্যক্তি বিষয়টি তুষারকান্তিবাবুকে ফোন করে বিষয়টি জানান।” তিনি জানান, ওই ব্যক্তি বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ তুষারবাবুর সঙ্গে কথা বলে ভিতরে এসে জানান তুষারবাবু আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু আমি কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। প্রায় ১৫ মিনিট পর তুষারবাবু ব্লাডব্যাঙ্কের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ভিতরে ঢুকে আমাকে চড়, লাথি ও ঘুষি মারেন। সহকর্মীরা এসে আমাকে বাঁচান। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি।
তুষারবাবু অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “সনৎকুমারবাবু দুই ইউনিট রক্ত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যক্তির কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। মোবাইলে খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করি। কাউকে মারধর করি।” তুষারবাবুর আরও অভিযোগ, “কিছুদিন আগে সনৎকুমারবাবু রক্ত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেন। পরে চাপে পড়ে তিনি টাকা ফিরিয়ে দেন।” যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সনৎকুমারবাবু।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, সনৎকুমারবাবু অভিযোগ জানালে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেব। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী জানান, কোনওপক্ষই এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy