বকেয়া ফোন বিল সংক্রান্ত অন্তত ৫০০টি মামলার নিষ্পত্তি হল লোক আদালতে। রবিবার দার্জিলিং জেলা আদালত চত্বরে ওই লোক আদালতে বকেয়া বিল মেটাতে কোনও ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিএসএনএল সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে পাহাড়ে বকেয়া ফোন বিলের পরিমাণ অন্তত ৭ কোটি টাকা। এর মীমাংসার জন্যই এ দিন জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফে লোক আদালতের আয়োজন করা হয়। এ দিনের লোক আদালতে ১৫৬০ জন বিএসএনএল গ্রাহককে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ৬টি ‘বেঞ্চের’ ব্যবস্থা করা হয়।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, বকেয়া বিলের সিংহভাগই ২০০৮ সালের অগস্ট থেকে ২০১১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। সেই সময়ে পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বয়কট আন্দোলন চলায় বিদ্যুত্ এবং টেলিফোন বিল জমা দেওয়া বন্ধ ছিল বলে সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ২০১১ সালের জিটিএ চুক্তির পরে সেই বয়কট আন্দোলন মোর্চা প্রত্যাহার করলেও বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। মোর্চার দাবি, বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে না বলে জিটিএ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এ দিনের লোক আদালত নিয়ে মোর্চার বক্তব্য, কোনও বাসিন্দা স্বেচ্ছায় বকেয়া বিল দিতে চাইলে দলের কিছু বলার নেই। মোর্চার সহ-সম্পাদক জ্যোতি কুমার রাই অবশ্য বলেন, “বকেয়া বিল পরিশোধ করার প্রয়োজন নেই বলেই দলের তরফে জানানো হয়েছিল। বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় মিটিয়ে দিলে আমাদের কিছু বলার নেই। লোক আদালতে কাউকে কিছু জোর করা হয় না, গ্রাহকদের জোরও করা হয় না।” জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ তথা দার্জিলিঙের জেলা জজ উদয় কুমার বলেন, “বকেয়া ফোন বিলের সমস্যা মেটাতে এ দিন এই লোক আদালতের ব্যবস্থা করা হয়। অনেক গ্রাহকই বকেয়া বিল মিটিয়ে দিতে চাইলেও সেই পদ্ধতি না জানায় সমস্যায় পড়েন। সে কারণেই লোক আদালতের আয়োজন করা হয়। তাতে খুব ভাল সাড়াও মিলেছে। ৫০০টিরও বেশি ক্ষেত্রে সমাধান সূত্র মিলেছে।” তাঁর সংযোজন, সাধারণ বাসিন্দাদের অনেকেরই আইন সম্পর্কে সঠিক জানা থাকে না। সে কারণেই লোক আদালত করে সকলকে আইনি অধিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পাহাড়ের সব মহকুমাতেই এমন লোক আদালত হবে বলে জানান তিনি। জেলা জজ। সংস্থার শিলিগুড়ি টেলিকম ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল ম্যানেজার অরুময় ডাকুয়া বলেন, “লোক আদালতে গ্রাহকদের আগ্রহ খুবই সদর্থক ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy