রাস্তা সংস্কারের দাবি। ছবি: বাপি মজুমদার।
দুদিনের বৃষ্টিতে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের দুটি অঞ্চল ডোবার আকার নেওয়ায় চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে একটি এলাকায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৭ ঘণ্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। মালদহের রতুয়ার ভাদো এলাকায় সামসি-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বুধবার ওই বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১০টা থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে বৃষ্টির মধ্যে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। সেখানে ২০০ মিটার এলাকা কার্যত জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। বিকেল পাঁচ টায় প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।
দ্বিতীয় রাস্তাটি হল চাঁচল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের কনুয়া। ওই সড়ক গত বছর বর্ষার আগে নতুন করে তৈরি করা হলেও কনুয়ায় ৩০ মিটার রাস্তা করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে পড়েছে। রাস্তা তৈরি হলেও জাতীয় সড়কের ওই অংশ সংস্কার করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পূর্ত দফতরের মালদহের নির্বাহী বাস্তুকার বিধানচন্দ্র দেব বলেন, “ওই এলাকায় রাস্তা অনেকটাই উঁচু করে তৈরি করতে হবে। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে দেখা হচ্ছে।” ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দফতরের মালদহের নির্বাহী বাস্তুকার ধীমান সাহা জানান, খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সড়ক ও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কনুয়ায় জাতীয় সড়কের উপর চারপাশের জল জমা হয়। সে জন্য সেখানে রাস্তা বেশ উঁচু করে তৈরি করা দরকার। কিন্তু রাস্তার পাশে কিছু বাসিন্দা জাতীয় সড়কের জায়গা জবরদখল করে রেখেছে। মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে এই প্রসঙ্গে বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে ওই বিষয়ে আমাদের সাহায্য চাওয়া হয়নি। উল্টে জেলার একাধিক সভায় বারবার আমি বিষয়টি তুলেছে। ওরা সাহায্য চাইলেই নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে।”
একই ঘটনা রতুয়ার ভাদোয় রাজ্য সড়কের ক্ষেত্রেও। পূর্ত দফতর জানায়, সেখানেও রাস্তা অনেকটাই উঁচু করা দরকার। সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের কনুয়ায় বৃষ্টি হলেই প্রায় এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ছোট গাড়ি পার হতে গিয়ে জল ঢুকে পড়ছে গাড়ির ভিতরে। বাইকও প্রায় ডুবুডুবু। রাজ্য সড়কের ভাদো বাস স্ট্যান্ড পার হওয়ার পরও সেখানে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা জুড়ে যেন তৈরি হয়েছে ছোটখাট জলাশয়। দুটি রাস্তাতেই জলাশয় পেরিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনাও। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন রায়, আমিনুল হকেরা বলেন, “কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে কবে সমস্যা মিটে যেত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy