Advertisement
০৬ মে ২০২৪

সোনাকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ পেয়ে ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের চেয়ারে বসলেন হরিরামপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনা। সোমবার দুপুরে হরিরামপুর থেকে ৮টি গাড়ির কনভয় নিয়ে বালুরঘাটে ঢুকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। পরিষদের গেটে এবং ভিতরে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। সোনাবাবুর হাতে ছিল হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে জেলা পরিষদের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের কোনও সদস্য দেখা করা তো দূরের কথা, কথা পর্যন্ত বলেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪১
Share: Save:

উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ পেয়ে ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের চেয়ারে বসলেন হরিরামপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনা। সোমবার দুপুরে হরিরামপুর থেকে ৮টি গাড়ির কনভয় নিয়ে বালুরঘাটে ঢুকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। পরিষদের গেটে এবং ভিতরে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। সোনাবাবুর হাতে ছিল হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে জেলা পরিষদের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের কোনও সদস্য দেখা করা তো দূরের কথা, কথা পর্যন্ত বলেননি। তবে হরিরামপুর থেকে সোনা পালের বিশাল একদল অনুগামী তাঁর ঘরে সর্বক্ষণ ভিড় করে ছিলেন। হরিরামপুরের ব্লক কিসান তৃণমূল কমিটির সভাপতি সিরাজুদ্দিন আহমেদ, হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা গোকর্ণ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সমীর সরকার এবং বৈরহাট্টা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি আনসার আলিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সোনাবাবু। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলেই আছি। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটা কাকুর (তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে কাকু বলে ডাকেন সোনাবাবু)।” তবে বিপ্লববাবু দাবি করেন, আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

গত ৩ জানুয়ারি তলবি সভায় সোনাবাবুকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তার আগে ২২ ডিসেম্বর ডিভিশনাল কমিশনারের তরফে সোনাবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা নোটিস দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সোনাবাবু। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ লাহা ২৮ জানুয়ারি ওই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। সেই সুবাদেই সোনাবাবু এদিন জেলা পরিষদে যান।

ওই নেতার অনুগামীরা কয়েকজন জানান, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেও দলের প্রদেশ নেতাদের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন সোনাবাবু। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্দরে জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু প্রদেশ তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। সোনাবাবুও প্রদেশ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই তিনি পদক্ষেপ করছেন বলে তাঁর অনুগামীদের একাংশ দাবি করেছেন। সোনাবাবু এ দিন বলেন, “সরকারি কাজে কেউ বাধা দিতে পারেন না। জেলা পরিষদের সমস্ত আধিকারিকদের চিঠি দেব। সাড়া না পেলে উচ্চ আদালতকে সব জানাব।” এ দিন সোনাবাবু যতক্ষণ ছিলেন, জেলাপরিষদ ভবন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ডিপিএসসি ভবনে দলের জেলা পরিষদের সদস্য তথা জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান কল্যাণ কুণ্ডুর ঘরে বসেই কাটিয়েছেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সহ সংখ্যা গরিষ্ঠ তৃণমূল সদস্যরা। সভাধিপতি ললিতা টিগ্গার সঙ্গেও সোনাবাবুর দেখা হয়নি। কল্যাণবাবু বলেন, “সোনাবাবু দল থেকে বহিষ্কৃত। ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জনই সোনাবাবুর বিরুদ্ধে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

subhashish pal sona party conflict balurghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE