সেরার শিরোপা নিয়ে স্বাগতা। ছবিটি তুলেছেন অভ্রনীল রায়।
সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় নজরুলগীতিতে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা স্বাগতা মুখোপাধ্যায়।
শহরের মোহনবাটি পার্বতীদেবী বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্বাগতা কলকাতার মুরারি স্মৃতি সঙ্গীত সম্মিলনীর উদ্যোগে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় শুধু নজরুলগীতিতেই নয়, সর্বভারতীয় স্তরের অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতাতেও প্রথম স্থান দখল করেছে। ওই বিভাগের আধুনিক গান প্রতিযোগিতাতেও স্বাগতা দেশের মধ্যে প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগীর সম্মান পেয়েছে।
গত মঙ্গলবার কলকাতার অহীন্দ্র মঞ্চে আয়োজক সংস্থার তরফে স্বাগতার হাতে ব্রোঞ্জের দু’টি স্মারক, একটি পদক ও শংসাপত্র তুলে দেন কলকাতার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মধুমিতা সাহা। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সম্মিলনীর কর্ণধার দিলীপ মিশ্র, বিশিষ্ট শিল্পী জগন্নাথ গঙ্গোপাধ্যায়, অরুণ ভাদুড়ি, মায়া চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, সমর সাহা, সুরকার জয়দেব সেন প্রমুখ। বৃহস্পতিবার স্বাগতা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে রায়গঞ্জে ফিরেছে। সেদিন দিনভর শহরের সঙ্গীত শিল্পীদের একাংশ ও প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানান।
স্বাগতার বাবা সঞ্জিত্বাবু পেশায় রায়গঞ্জের দ্বারিকাপ্রসাদ জিএসএফ প্রাথমিক স্কুলের সহকারি শিক্ষক। মা সোমাদেবী গৃহবধূ। তাঁরা বলেন, “মেয়ে খুব ছোট থেকেই বিভিন্ন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় একাধিক পুরস্কার পেয়েছে। তবে ও এত তাড়াতাড়ি সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তিনটি বিষয়ে দেশ সেরার শিরোপা দখল করবে, এটা ভাবতে পারিনি।” স্বাগতার কথায়, “সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা রায়গঞ্জের নাম উজ্বল করতে পেরে ভাল লাগছে। ভবিষ্যতে একজন আদর্শ সঙ্গীতশিল্পী হয়ে দুঃস্থ প্রতিভাবানদের নিখরচায় সঙ্গীত শেখাতে চাই। কারণ, প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই আর্থিক অনটনের কারণে সঙ্গীত শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।”
মুরারি স্মৃতি সঙ্গীত সম্মিলনীর উদ্যোগে গত বছরের ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার চেতলা গার্লস হাইস্কুল চত্বরে প্রতিযোগিতা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy