Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলব্যাগ নিয়ে পার্থ মমতারই অপেক্ষায়

স্কুলের সর্বস্তরের পড়ুয়ার পিঠের বোঝা কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কী ভাবে সেটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষা শিবিরে। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পুরো নির্দেশিকা পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

বোঝা: সরকারি পরিকল্পনা সত্ত্বেও স্কুলপড়ুয়াদের কাঁধে ব্যাগের ভার কমেনি। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

বোঝা: সরকারি পরিকল্পনা সত্ত্বেও স্কুলপড়ুয়াদের কাঁধে ব্যাগের ভার কমেনি। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০২
Share: Save:

স্কুলের সর্বস্তরের পড়ুয়ার পিঠের বোঝা কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কী ভাবে সেটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষা শিবিরে। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পুরো নির্দেশিকা পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্য সরকারও যে পড়ুয়াদের পিঠের ব্যাগের অতিরিক্ত ওজন কমাতে ইচ্ছুক, সেটাও স্পষ্ট করে দেন শিক্ষামন্ত্রী।

কেন্দ্র ১৯৯২ সালে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যশপালের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছিল। ১৯৯৩ সালে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারী স্কুলব্যাগ এক দিকে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি তো করছেই। সেই সঙ্গে পড়াশোনার আনন্দও কমিয়ে দিচ্ছে। ২০০৬ সালে স্কুলব্যাগের ওজন সংক্রান্ত একটি বিল রাজ্যসভায় পেশ করা হয়। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান এ রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গত বছর তখনকার কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব অনিল স্বরূপ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, স্কুলব্যাগের ওজন কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। তার পরে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, স্কুলে ওই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারি করবে কে? স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতে সরকারি স্কুলের ব্যাগের ওজন অনেকটাই কম। তার পরেও অবর স্কুল পরিদর্শকেরা পরিদর্শন করবেন। বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে অবশ্য সরকার নাক গলাতে রাজি নয়। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারে নির্দেশ মেনে চলবেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে হোমওয়ার্ক বা বাড়ির পাঠ দিতে বারণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায়। এ রাজ্যের অভিভাবকদের একাংশ অবশ্য দাবি করেছেন, ব্যাগের বোঝা কমানো হোক, কিন্তু হোমওয়ার্ক যেন বন্ধ করা না-হয়। তা হলে বাড়িতে পড়ার অভ্যাসই তৈরি হবে না। তাই তাঁরা চান না এই নিয়ম বলবৎ হোক। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরোটাই সরকারের বিষয়। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE