ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেন চলাচলে সময় না-মানার সঙ্গে এ বার উটকো উপদ্রব, ট্রেনের সময়সূচি হঠাৎ বদলে দেওয়া। মাঝেমধ্যেই হাওড়া-শিয়ালদহে দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ার সময় পাল্টে দেওয়ায় চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের বক্তব্য, আগে জানানো হলে তাঁরা সময় হিসেব করে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন। কিন্তু রেল-কর্তৃপক্ষ আগেভাগে ট্রেনের সময় বদলের কথা না-জানানোয় তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে স্টেশনে। রবিবার এই বিপত্তি ঘটে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ওই ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বেলা ২টো ৫০ মিনিটে। কিন্তু হঠাৎ সময় পরিবর্তন করে ঠিক হয়, ট্রেন ছাড়বে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক যাত্রী স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছেন, অনেকে মাঝরাস্তায়। সময় বদলের সিদ্ধান্ত শেষ সময়ে নেওয়ায় অনেক যাত্রীই তা জানতে পারেননি। ফলে স্টেশনে পৌঁছে তাঁদের হয়রান হতে হয়। রাজধানী, দুরন্তের মতো কুলীন ট্রেনের যাত্রীদেরও নাকাল হতে হচ্ছে।
কেন আচমকা সময় বদল? রেলকর্তাদের পাল্টা প্রশ্ন, শেষ মুহূর্তে ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লে, ট্রেন দেরিতে পৌঁছলে বা আবহাওয়া খুব খারাপ থাকলে ট্রেন ছাড়ার সময় বদলের খবর দেওয়ার সময় কোথায়? যাত্রীদের প্রশ্ন, ট্রেনের ভাড়া এখন প্রায় বিমানের ভাড়ার সমান। উড়ানের সূচি পাল্টালে এসএমএসে যাত্রীদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রেল তা জানায় না। কেন?
রেলকর্তাদের দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব রেল-সহ কয়েকটি জোনে সময় বদলের কথা এসএমএসে জানানো হচ্ছে। ট্রেন ছাড়ার পরিবর্তিত সময় নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দু’ঘণ্টা বেশি হলে এসএমএসে তা জানানো হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, করমণ্ডলের অনেকেই এসএমএস পাননি। ফলে এই তীব্র গরমে স্টেশনে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
রেলকর্তাদের অভিযোগ, আসন সংরক্ষণের সময় মোবাইল নম্বর লিখতে গিয়ে ভুল করেন অনেকেই। ফলে এসএমএস পৌঁছয় না। ‘‘একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করার চেষ্টা চলছে। তাতে ট্রেনের সব তথ্যই মিলবে। ট্রেন ছাড়ার সময় বা তা পরিবর্তনের তথ্যের সঙ্গে থাকবে ট্রেন পৌঁছনোর সময়, ট্রেন লেটের সংবাদ,’’ বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy