ছবি: সংগৃহীত।
হাওড়া আদালতের উকিলদের উপরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন আদালতে সওয়াল বন্ধ রেখেছেন আইনজীবীরা। এই অবস্থায় নিজেরাই মামলা লড়লেন আট জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। মামলার ফয়সালা না-হলেও পদোন্নতির পরীক্ষায় বসার সুযোগ আদায় করে নিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবারের মধ্যে ওই কর্মীদের পদোন্নতির পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এ দিন আইসিডিএস বা সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৪ এপ্রিল হাওড়া পুরসভার কর্মী ও হাওড়া আদালতের কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই কাজ বন্ধ রেখেছেন আইনজীবীরা। তাতে সমস্যায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, এ দিন নিজেরা সওয়াল করে আট বিচারপ্রার্থী বুঝিয়ে দিলেন, কর্মবিরতি যত দিনই চলুক, বিচার পাওয়ার জন্য এ ভাবেই লড়াই চালাতে হবে।
এর মধ্যেই কর্মবিরতির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বার কাউন্সিলের এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২১ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে। কাউন্সিলের এক কর্তা জানান, কবে আইনজীবীরা ফের কাজে যোগ দেবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ২১ তারিখে। আইনজীবীদের উপরে লাঠি চালানোর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে হাইকোর্ট। মামলার শুনানি হচ্ছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এ দিন প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে মামলার শুনানি হয়নি। আজ, বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে।
কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরাই। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়ার জন্য আট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মরিয়া হয়ে এ দিন নিজেরাই সওয়াল করেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৭ মার্চ রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আইসিডিএস প্রকল্পে সুপারভাইজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। তাঁরা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারেন। ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোমা দে-সহ আট জন অনলাইনে ফর্ম পূরণ করলেও তাঁদের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। আইসিডিএস-কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, যে-হেতু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের নিয়োগ করেছে, সেই জন্য তাঁরা পদোন্নতির ওই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই কর্মীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি অমৃতা সিংহ গত ১ মে তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানান, ৩০ এপ্রিল আবেদন করার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বিচারপতি সিংহের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল আবেদন করেন আট জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন মামলার নিষ্পত্তি করেনি। পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে ২১ মে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy