কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও ট্রেন-জট ইত্যাদি কারণে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনও সময় মেনে চলে না। ওই সব ট্রেনের দ্রুত গতি ও টানা দৌড় বজায় রাখতে হাওড়া-নয়াদিল্লি ও মুম্বই-নয়াদিল্লি রুটের দু’পাশে এ বার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক।
এই দুই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে নীতি আয়োগ এবং অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ওই দুই দফতর থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে রেল বোর্ড সূত্রের খবর। বোর্ডকর্তারা জানান, বিষয়টি এ বার লোকসভায় পেশ করা হবে।
এই জোড়া প্রকল্প রূপায়িত হলে কী কী সুবিধা হবে?
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রেলের মোট আয়ের ১৭ শতাংশ হাওড়া-নয়াদিল্লি রুট থেকে আসে। মুম্বই-নয়া দিল্লি রুট থেকে আসে ১৪.৭ শতাংশ। বোর্ডকর্তাদের দাবি, বেড়া প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রেলের আয় বাড়বে। রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো দ্রুত গতির ট্রেনের প্রাথমিক ভাবে গতি দাঁড়াবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। কিছু দিনের মধ্যে এই গতি আরও বেড়ে হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।
রেল জানাচ্ছে, লুধিয়ানা-দিল্লি-ডানকুনি রুটের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের (পূর্বাঞ্চল) কাজ শেষ হলে এই লাইনে মালগাড়ি আর চলবে না। ফলে আরও অনেক যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে চালু ট্রেনগুলির গতি বাড়ানো প্রয়োজন। আর গতি বাড়াতে গেলে লাইনের পাশে বেড়া দেওয়া আবশ্যিক। ওই বেড়া হবে কাঁটাতারের। বিভিন্ন জাতীয় সড়কের দু’পাশের বেড়ার আদলে লোহার বিম বসিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে রেললাইনের দু’ধারে। সেই সঙ্গেই সব ধরনের লেভেল ক্রসিং তুলে ‘আন্ডারপাস’ বা ‘ওভারব্রিজ’ তৈরি করা হবে বলে জানান বোর্ডকর্তারা।
রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটের দৈর্ঘ্য ১৪৫০ কিলোমিটার। আর নয়াদিল্লি-মুম্বই রুটের দৈর্ঘ্য ১৩৮৪ কিলোমিটার। এই দুই রুটের পাশে বেড়া দেওয়ার প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে লাইন ও সিগন্যাল উন্নত করার কাজও। তবে এত দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া কত দিন রক্ষা করা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। রেলকর্তারা অবশ্য বলছেন, টানা ইটের প্রাচীর হলে ভাঙার বা ভেঙে দেওয়ার আশঙ্কা থাকত। এ ক্ষেত্রে কাঁটাতার এমন ভাবে লাগানো হবে, যা নষ্ট করা খুব কঠিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy