পাকড়াও: গ্রেফতার হওয়ার পরে সনাতন। নিজস্ব চিত্র।
পুরুলিয়ার সুচ-কাণ্ডে অভিযুক্ত সনাতন গোস্বামী (ঠাকুর)-কে ধরিয়ে দিল তার গাঁজার নেশা।
সাড়ে তিন বছরের শিশুর উপরে যৌন নির্যাতন, তার শরীরে সুচ ফুটিয়ে অত্যাচার চালানো ও তাকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সনাতন নিখোঁজ ছিল দিন পনেরো। তদন্তে পুলিশ জেনেছিল, সকাল-সন্ধ্যা গাঁজার মৌতাত ছাড়া চলে না পুরুলিয়া মফস্সল থানার নদিয়াড়া গ্রামের বছর বাষট্টির ওই বৃদ্ধের। ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে তার অনেক আত্মীয় থাকেন। কীর্তনিয়া হিসেবে বহু মন্দিরে-মন্দিরে ঘোরার অভিজ্ঞতা রয়েছে লোকটির।
ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে পুরুলিয়া পুলিশ যায় উত্তর প্রদেশে। সেখানে সনাতনের কোন আত্মীয়ের বাড়ির কাছে মন্দির রয়েছে, সেই মন্দিরের কাছে গাঁজার ঠেক রয়েছে কি না—সে বিষয়গুলোকে মাথায় রাখা হয়। সেই সুবাদে উত্তরপ্রদেশের রেণুকূট থানার পিপড়ি থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার হয় সনাতন। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েই রেণুকূট থেকে সনাতনকে ধরা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, রেণুকূটে সনাতনের এক শ্যালকের বাড়ি রয়েছে। কাছেই রয়েছে মন্দির। মন্দির থেকে গাঁজার ঠেকও দূরে নয়। সেই ঠেকে ‘বহিরাগত’ এক বৃদ্ধকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। নিশ্চিত হতে সনাতনের অনুপস্থিতিতে তার শ্যালককে জেরা করে তারা। তার পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাহায্য নিয়ে মন্দির লাগোয়া গাঁজার ঠেক থেকে ধরা হয় সনাতনকে। সোমবার ধৃতকে উত্তরপ্রদেশের রবার্টসগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। আজ, মঙ্গলবার রাতে সনাতনকে নিয়ে জেলায় ফেরার কথা পুলিশের। কাল, বুধবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হতে পারে ধৃতকে।
২১ জুলাই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যায় নির্যাতিতা শিশুটি। মেয়েটির মা-কে আগেই ধরা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে সনাতনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy