Advertisement
০৪ মে ২০২৪

লালবাজারে দু’ঘণ্টা জেরা করে ছাড় প্রতাপকে

খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই সোমবার তাঁকে জেরা করার জন্য লালবাজারে তুলে আনে পুলিশ। তবে ঘণ্টা দুয়েক কথা বলার পর ছাড়াও পেয়ে যান তিনি।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৩
Share: Save:

খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই সোমবার তাঁকে জেরা করার জন্য লালবাজারে তুলে আনে পুলিশ। তবে ঘণ্টা দুয়েক কথা বলার পর ছাড়াও পেয়ে যান তিনি।

এমন গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও কী করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের একাংশ। লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তো ডাকা হতেই পারে কাউকে। কিন্তু ডাকলেই গ্রেফতার করতে হবে, তার কোনও মানে নেই।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরে ৩১ অক্টোবর চেতলার দুই ক্লাব প্রদীপ সঙ্ঘ ও রাজীব গাঁধী ইউথ ফোরামের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ভোলা তিওয়ারি ও বরুণ যাদব নামে দুই যুবক জখম হন। গ্রেফতার হন ইউথ ফোরামের সঞ্জয় দাস। অথচ প্রতাপের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। ধরা হয়নি তাঁকে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেই মামলায় সোমবার লালবাজারে তলব করা হয় অভিযুক্ত ওই নেতাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দেননি তিনি। বিকেলে পুলিশ চেতলা থেকে তাঁকে তুলে আনে। কিন্তু অভিযোগ, আলিপুরে থানা ভাঙচুরে একদা অভিযুক্ত প্রতাপকে গ্রেফতারের ‘সাহস’ এ দিনও দেখাতে পারল না পুলিশ।

কে এই প্রতাপ সাহা? খুনের মামলায় জড়ানোর সাত দিন পরেও কেনই বা গ্রেফতার হননি তিনি?

প্রতাপ সাহার নাম প্রথম উঠে আসে ২০১৪-র ১৪ নভেম্বরে। ওই দিন আলিপুরে সরকারি প্রকল্পের কাজে পূর্ত দফতরের কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতাপের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কয়েক জনকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেলে প্রতাপ-ঘনিষ্ঠরা থানা ভাঙচুর করে তাদের ছিনিয়ে আনে। টেবিলের তলায় লুকিয়ে, মাথায় ফাইল ঢেকে প্রাণ বাঁচান পুলিশকর্মীরা। এর পরেও জামিন মিলে যায় প্রতাপের। মাস ছয়েক পরে, পুরভোটের আগে গত বছর ১৪ এপ্রিল গোপালনগর মোড়ে বিজেপি-র সভায় ফের হামলার অভিযোগ ওঠে প্রতাপ ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রতাপের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এ বারও ধরা পড়েননি প্রতাপ। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার ‘ডন’ বলে পরিচিত প্রতাপের শাসক দলের সঙ্গে ওঠা-বসা রয়েছে। আলিপুর-চেতলা এলাকার অন্তত ১০০টি ইউনিয়নের নেতা এই প্রতাপ। এই কারণেই এত বার গুরুতর অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও বারবার ছাড় পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

লালবাজার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রতাপ বলেন,‘‘ওই দিন ওই ক্লাবের সদস্যরা রাস্তা আটকে জোরে গান বাজিয়ে নাচছিল। এর প্রতিবাদ করাতেই ওরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pratap Saha TMC Lalbazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE