Advertisement
E-Paper

হাজিরার নিয়মে অটল প্রেসিডেন্সি

এ দিন অনশন তুলে নেওয়ার পরে এক ছাত্রী জানান, রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার আশ্বাস দিয়েছেন, কারও ক্ষেত্রে এমন কিছু হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৬
ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

পিছু হটেছিলেন আগেই। আবার কিছুটা হটলেন। কিন্তু পড়ুয়াদের অনশন সত্ত্বেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাজিরা নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করলেন না। বুধবার তাঁরা কিছুটা পিছু হটেন সিবিসিএস বা পছন্দসই মিশ্র পাঠের প্রশ্নে। এই নিয়ে যে-কোনও সেমিনারে পড়ুয়ারা থাকতে পারবেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এই আশ্বাসের পরে, বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন পড়ুয়ারা।

ক্লাসে হাজিরা এবং পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার প্রশ্নে গত বছরেও গোলমাল হয়েছিল প্রেসিডেন্সিতে। সাধারণ ভাবে প্রতিটি ক্লাসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। ওই হারে ক্লাসে উপস্থিত না-থাকলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে সর্বাধিক ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া গেলেও ৬০ শতাংশ হাজিরা থাকতেই হয়। কিন্তু তার পরেও অনেকের সেটা থাকে না। তখন তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। এ বার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছিলেন, এই ধরনের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার আবেদন খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিন। এ দিন অনশন তুলে নেওয়ার পরে এক ছাত্রী জানান, রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার আশ্বাস দিয়েছেন, কারও ক্ষেত্রে এমন কিছু হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

‘‘নিয়মের কোনও পরিবর্তন হবে না। নিয়মের মধ্যে যা রয়েছে, সেটাই করা হবে,’’ বলে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক হলেও বিভাগীয় প্রধান ও উপাচার্য বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ুয়ার আবেদন বিবেচনা করতে পারেন। তাই পড়ুয়ারা অনশনে বসলেও কর্তৃপক্ষ সরাসরি তাঁদের ৬০ শতাংশ হাজিরার দাবি মানলেন না। কর্তৃপক্ষের অনমনীয় থাকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা শিবির। হাজিরার বিষয়ে কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার না-করায় খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই।

তবে পড়ুয়াদের স্বার্থেই সিবিসিএস নিয়ে আলোচনায় তাঁদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘সিবিসিএস পড়ুয়াকেন্দ্রিক পদ্ধতি। তাই এটা চালু করতে গিয়ে সমস্যা হলে আলোচনার জন্য আয়োজিত সেমিনারে পড়ুয়া-প্রতিনিধি থাকতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় বা বাইরের শিক্ষকেরাও আলোচনায় যোগ দিতে পারবেন।’’ এই সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীরা খুশি। তাঁদের তরফে মানসী সরকার নামে এক ছাত্রী বলেন, ‘‘এই নতুন পদ্ধতি নিয়ে আমাদের অনেক কিছু বলার আছে। বক্তব্য পেশের সুযোগ আদায়ের জন্যই লড়াই করছিলাম। অধিকার মিলেছে।’’

প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতে এক পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না-দেওয়ায় অমানবিকতার যে-অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে
এ দিন কেউ বিশেষ কিছু বলতে চাননি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অবস্থানের জন্য কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। ডিনকে রাতে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়। তবে সব দিক যাচাই না-করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।

Prsidency Attendence Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy