রাইপুরের বহু মানুষের ভরসা কংসাবতী নদীই আবর্জনায় ভরে উঠেছে। ছবি: উমাকান্ত ধর
চার মাসেই ১৪! নতুন বছরে বর্ধমান ডিভিশনের পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এটাই। শুরুর ক’টা মাসেই যদি এই হাল হয় তা হলে শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটা কোথায় দাঁড়াতে পারে তা ভেবেই কপালে ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ কোন পথে হবে তা ঠিক করতে একটি জোনাল স্তরের বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, রাজ্য যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা কে কে পথী, বর্ধমান ডিভিশন জেনারেলের (ম্যালেরিয়া) আধিকারিক সত্যজিৎ চক্রবর্তী-সহ বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বর্ধমান ডিভিশনাল জোনের এই পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলায় ১৪ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে বাঁকুড়ায় মৃতের সংখ্যা চার, বিষ্ণুপুরে দুই, পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচ, ঝাড়গ্রামে এক ও পুরুলিয়ায় দুই। এক স্বাস্থ্য কর্তা মানছেন, “সংখ্যাটা উদ্বেগ জনক। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠলেই তোলাই এই রোগ ঠেকানো যেতে পারে।”
ঘটনা হল, জ্বর হলেই ম্যালেরিয়া পরীক্ষা কার্যত বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্যভবন। এর জন্য আশাকর্মীদের হাতে কিট তুলে দিয়ে জ্বরে আক্রান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করানোর পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে কয়েক বছর আগে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। বাঁকুড়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসূনকুমার দাস বলেন, “পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলার ম্যালেরিয়া প্রবণ ব্লক ও গ্রাম চিহ্নিত করে ওই ব্লক ও গ্রামস্তরে সচেতনতা শিবির করা হবে। ম্যালেরিয়া মশা রোধে কী পদক্ষেপ করা উচিত তা তুলে ধরব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy