রবিবার বোলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সইদ শেখ। —নিজস্ব চিত্র
দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি, গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে গুরুতর জখম হলেন দু’জন। প্রথম জনের গলায় গুলি লেগেছে। দ্বিতীয় জনের বাঁ পায়ের হাঁটুর উপরে। দু’জনেই চিকিৎসাধীন। কেতুগ্রামের উজলপুরের শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। বর্তমানে দু’জনেই বিপন্মুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বেডে শুয়ে সইদ শেখ জানালেন, সন্ধ্যাবেলা মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সইদের কথায়, ‘‘সে সময় রাস্তার ধারে বসেছিল তৃণমূল নেতা শেখ বাপি ও তার দলবল। কোথা থেকে আসছি, গ্রামের পুকুরের মাছ নিয়েছি কি না এ সব প্রশ্ন করার পরেই আচমকা লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে। তারপরেই এলোপাথারি গুলি চালায়।’’ সেই গুলি লাগে বাঁ পায়ের হাঁটুতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সেই সময়েই গলায় গুলি লাগে রবিউল শেখের। রবিউলের বাড়ি উজলপুরের পূর্বপাড়ায়। তাঁর ভাই শেখ জাহির জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন রবিউল। সেই সময় গ্রামে দুটি গোষ্ঠীর বোমাবাজি শুরু হয়। তার মাঝে পড়ে যান রবিউল। বোমায় আহত হন। গুলি বেঁধে গলায়। স্থানীয় বাসিন্দারা রবিউলকে দ্রুত উদ্ধার করে কেতুগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতেই বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা বয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
এ দিকে, সইদ শেখের দাবি সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের এজেন্ট বা নির্বাচনের কাজে না থাকলেও তিনি তৃণমূলের সমর্থক। কিন্তু, শনিবারের ঘটনার পরে তিনি আতঙ্কিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাজ বলেও দাবি করেছেন এক পুলিশ কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy