লকডাউন ঘোষণার পরে কেউ ফিরেছিলেন শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে। কেউ ভাড়া করা বাসে। পুরুলিয়ার কাশীপুর এবং হুড়া ব্লকের এমন ৩৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক বুধবার দুপুরে একটি বাসে চেপে রওনা হয়েছেন তামিলনাড়ুর কৃষ্ণাগিরির উদ্দেশে। তাঁদের মধ্যে কাশীপুরের দলালতা গ্রামের নির্মল গড়াই বলেন, ‘‘আমরা কৃষ্ণাগিরিতে গ্রানাইট পাথর বসাই। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিরেছিলাম। কিন্তু সংসার চালাতে কিছু তো করতে হবে।’’ ওই গ্রামেরই উত্তম মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন, অনেকেই কাজের যায়গায় ফিরতে শুরু করেছেন। ডাকও আসছিল। আমরাও যাচ্ছি।’’
লকডাউনে কাজ হারিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক পুরুলিয়ায় ফিরেছিলেন। তাঁদের কাজের সন্ধান দিতে ‘বিশ্বকর্মা’ নামে একটি পোর্টাল তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ওই পোর্টালের মাধ্যমে অনেকে বিকল্প কাজের খোঁজ পেয়েছেন। সুজয়বাবু বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্লকে দশ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক একশো দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই জেলায় থেকে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।’’
তবে তামিলনাড়ু রওনা হওয়া ওই শ্রমিকদের অধিকাংশই দাবি করেছেন, পোর্টালের কথা তাঁরা শুনেছেন। কিন্তু কোথায় গেলে নাম তোলা যাবে, তা জানেন না। কাশীপুরের ঢোলকাটা গ্রামের বরুণ কৈবর্ত্য এবং পাঁড়াশোল গ্রামের মেঘনাথ রায় ও বয়করা গ্রামের জয়দেব মাহাতো জানান, তামিলনাড়ুতে গ্রানাইটের কাজ করে মাসে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা পান। তাঁরা বলেন, ‘‘এখানে ঠিক মতো কাজ মিলছিল না। পোর্টালের নাম কী ভাবে তুলতে হয়, সেটাই বুঝতে পারিনি।’’