ক্যানসার আক্রান্ত এক মহিলার গলব্লাডার ও লিভারের একাংশ অস্ত্রোপচার করল বাঁকুড়া মেডিক্যাল। রোগ ছড়িয়ে পড়ায় কলকাতার বাইরে কোনও মেডিক্যাল কলেজে এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেশ জটিল বলেই দাবি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। বুধবার অস্ত্রোপচারটি করেছেন শল্য বিভাগের প্রধান উৎপল দে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বড়জোড়ার হাটআশুরিয়ার বধূ বছর চল্লিশের জাহানারা বিবি গলব্লাডারে ক্যানসার নিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি হন। গলব্লাডারের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছিল লিভারের একাংশেও। প্রায় তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে জাহানারা বিবির গলব্লাডার ও লিভারের আক্রান্ত অংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয়।
ওই একই দিনে বাঁকুড়ার কারকডাঙা এলাকার বছর চোদ্দোর বালিকা রীনা বাউরির ইউরেটার থেকে মোট ন’টি পাথর অস্ত্রোপচার করে বের করেন উৎপলবাবু। উৎপলবাবুর কথায়, “ইউরেটারে সাধারণত একটি বা দু’টি পাথর থাকে। পাথরগুলির আকৃতিও হয় এক সেন্টিমিটারের মধ্যে। তবে এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে ন’টি পাথর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি পাথর দুই সেন্টিমিটারের বেশি বড় আকৃতির।” জাহানারা বিবির মতোই রীনাও গত ৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। উৎপলবাবু জানান, ওই দুই রোগীর অস্ত্রোপচার বেশ জটিলই ছিল। রোগিনীরা সুস্থ রয়েছেন।
হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “গলব্লাডারের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছিল লিভারের একাংশেও। হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রও নেই। ফলে চিকিৎসকদের অনেক সময় নিয়েই অস্ত্রোপচারটি করতে হয়েছে।” তিনি জানান, রীনার চিকিৎসার জন্য প্রশাসনিক ভাবেও নানা সাহায্য করা হয়েছে।