Advertisement
E-Paper

অভিযুক্ত কি হাতাছাড়া হল, জল্পনা পুলিশের অভিযানে

বাহিনী প্রস্তুত হয়েই গ্রামে পৌঁছে ছিল। পুলিশ খুনে অভিযুক্তদের নাগালেও পেয়েও গিয়েছিল। তবুও অভিযুক্তকে ধরতে ব্যর্থ হল পুলিশ! এলাকার অভিযোগ, দুবারজপুর থানার ওসি অমিত খুনে অভিযুক্ত সেখ সেলিম নামে একজনকে ধরেও হাতছাড়া করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৬ ০১:৫৩

বাহিনী প্রস্তুত হয়েই গ্রামে পৌঁছে ছিল। পুলিশ খুনে অভিযুক্তদের নাগালেও পেয়েও গিয়েছিল। তবুও অভিযুক্তকে ধরতে ব্যর্থ হল পুলিশ!

এলাকার অভিযোগ, দুবারজপুর থানার ওসি অমিত খুনে অভিযুক্ত সেখ সেলিম নামে একজনকে ধরেও হাতছাড়া করল পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, ধস্তাধস্তি করে সেই অভিযুক্তকেও ছাড়িয়ে নেয় তার আত্মীয় স্বজন। বুধবার ভোরে দুবরাজপুর থানা এলাকার খোঁয়াজ মহম্মদপুরের ঘটনা। অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নেওয়ার দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

২০১৪ সালের ৩ জুন দুবরাজপুরের যশপুর পঞ্চায়েতের আউলিয়া গোপালপুর গ্রামে ১০০দিন প্রকল্পে একটি পুকুর সংস্কার করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমায় মারাত্মক জখম হয়েছিলেন দুবরাজপুর থানার সাবইন্সপেক্টর অমিত চক্রবর্তী। অমিতবাবু মারা যান ওই বছর ২৮ জুলাই। পুলিশ সিপিএম তৃণমূলের ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক নাবালক সহ মাত্র ১৭ জন। ওই দিনই ধরা পড়েন ওই এসআই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ আলিম।

ধৃতদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। নাবালককে বাদ দিয়ে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সিউড়ির আতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে। কিন্তু একজন পুলিশ আধিকারিক খুনে বাকিরা অভিযু্কেরা কেন প্রায় দু’ বছর পরেও অধরা সেই প্রশ্ন রীতিমত চাপে রেখেছে পুলিশকে।

বুধবার সেই বদনাম ঘোচাতেই কী অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ?

পুলিশ সূত্রের খবর শুধু অমিত চক্রবর্তী খুনে অভিযুক্তরাই নয় জেলা বা জেলার বাইরে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত অন্তত আট–দশ জনের নাম রয়েছে ওই গ্রামে। তাঁদের মধ্যে শেখ আখতার, শেখ আজম, শেখ মোহর, শেখ শেলিম-সহ বেশ কিছু নাম রয়েছে। নামে নামে জারি রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। মঙ্গলবার রাতে তাঁদেরই কয়েকজন গ্রামে উপস্থিত রয়েছে খবর পেয়েই তাদের খোঁজে বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অভিযান চালায় পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন দুবরাজপুর(বি) সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষ। ছিলেন দুবরাজপুর থানার ওসি শেখ মহম্মদ আলি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।

মোট পাঁচটি গাড়ির কনভয় গ্রামে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পালনোর তৎপরতা শুরু করে অভিযুক্তেরা। প্রকাশ্যে পুলিশ কর্তাদের কেউ কোনও কথা বলতে চাননি। তবে আড়ালে অভিযানে সামিল পুলিশ অফিসারদের জানিয়েছেন, পুলিশকে দেখে ছুটতে থেকা কয়েকজনের পিছু নেয় পুলিশ। বেশ খানিকটা পিছুও ধাওয়া করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট পিছল ছিল। এক পুলিশ কর্মী পিছলে যাওয়ার সুযোগে সকলেই পালিয়ে যায়।

দুবরাজপুর পুলিশের আরেক আধিকারিক বলছেন, একজনকে নাগালে পেয়েও বোঝা যায় সে তালিকা ভুক্ত নয়। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশ অবশ্য বলছে, ‘‘ছেড়ে দেওয়া নয় ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেটাও সেলিমকে। সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোঁড়া হয়েছিল।’’

যদিও পুলিশ বলছে, একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। কোনও অভিযুক্তকেই ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। না তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে। তাহলে তো গাড়ি বা পুলিশ কর্মীদের আহত হওয়ার বিষয় থাকত। প্রায় ঘন্টা খানেক এলাকায় কাটিয়ে ফেরার সময় তাঁরা গ্রামের অন্য প্রান্তে বোমা ফাটানোর আওয়াজ অবশ্য পেয়েছেন। এমনই দাবি তাঁদের।

যানজট নিয়ে বৈঠক। সাঁইথিয়ার যানজট নতুন নয়। যত দিন যাচ্ছে জট ততই বাড়ছে। টোটোর দৌলতে সেই জট আরও কয়েকগুন বেড়েছে। সেই সঙ্গে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে ওঠা দোকান-বাজার তো আছেই। স্থানীয়রা বলছেন, দেরিতে হলেও টনক নড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। ফুটপাত দখল করে যাঁরা ব্যবসা করেন, যানজট নিয়ে তাঁদেরকে সতর্ক করতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় থানায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। পুলিশ জানায়, যানজট সমস্যা কমানোর প্রথম ধাপ হল এই বৈঠক।

Police murdered
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy