Advertisement
০৮ মে ২০২৪

তারাপীঠে শৌচালয় ভেঙে বিতর্কে প্রশাসন

বেসরকারি শৌচালয় ভাঙা নিয়ে বিতর্কে জড়াল মহকুমা প্রশাসন। দ্বারকা নদের সেতু থেকে তারাপীঠের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় ওই শৌচালয়টি ছিল। সাধারণ মানুষজন টাকা দিয়ে সেটি ব্যবহার করতে পারতেন। শনিবার মহকুমা প্রশাসন শৌচালয়টি ভেঙে ফেলে। প্রশাসনিক যুক্তি ছিল, সরকারি জমি দখল করে সেটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৬
Share: Save:

বেসরকারি শৌচালয় ভাঙা নিয়ে বিতর্কে জড়াল মহকুমা প্রশাসন। দ্বারকা নদের সেতু থেকে তারাপীঠের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় ওই শৌচালয়টি ছিল। সাধারণ মানুষজন টাকা দিয়ে সেটি ব্যবহার করতে পারতেন। শনিবার মহকুমা প্রশাসন শৌচালয়টি ভেঙে ফেলে। প্রশাসনিক যুক্তি ছিল, সরকারি জমি দখল করে সেটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে শৌচালয়টির মালিকপক্ষের তরফে বাবলু পালের দাবি, শৌচালয়টি সম্পূর্ণ আইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, যাবতীয় নথি দেখানোর পরেও প্রশাসন সিদ্ধান্ত থেকে নড়েনি। এমনকী কোর্ট থেকে স্টে-অর্ডার এনে তারাপীঠ থানায় জমা করার পরেও এ দিন শৌচালয় ভাঙতে অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বাবলুবাবুর দাবি, ২০১১ সালে তৎকালীন মহকুমাশাসক বিধান রায়ের সুপারিশে ওই শৌচালয়টি তৈরি হয়েছিল। তৎকালীন এসডিও, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সেটি নির্মাণের জন্য দৈর্ঘ্যে ৩৫ ফুট এবং প্রস্থে ১৫ ফুট একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়। ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাঁরা সেখানে শৌচালয় নির্মাণ করেন। ২৫ বছর ওই জমিতে শৌচালয় চালানোর জন্য প্রশাসনের দেওয়া লিখিত অনুমতিও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে দাবি। বাবলুবাবু জানান, বছর খানেক আগে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ হঠাৎ শৌচালয়টি বেআইনি বলে দাবি করে ভেঙে ফেলতে বলে। প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েও লাভ হয় না। মাস দু’য়েক আগে রামপুরহাট আদালত থেকে জায়গা খালি করার জন্য নোটিস পাঠানো হয়। গত ৩১ জানুয়ারি মহকুমা শাসকের অফিস থেকে সাত দিনের মধ্যে জায়গা খালি করার নির্দেশ পাঠানো হয়। শুক্রবার সিউড়ি আদালত থেকে সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে এসে তারাপীঠ থানায় জমা করা হয় বলে বাবলুবাবুর দাবি। তাঁর অভিযোগ, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে সেই স্থগিতাদেশের কপি জমা দিতে গেলে তাঁদের ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

যদিও তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। ওঁরা কোনও স্টে-অর্ডার আমাকে দেখাননি। আমরা কোনও বেআইনি কাজ করিনি। ম্যাজেস্ট্রের নির্দেশে উচ্ছেদ হয়েছে।’’ স্থগিতাদেশের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে এ দিন দাবি করেছেন এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাসও।

মৃত বালক। পাথর বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বালকের। শুক্রবার সন্ধ্যায় শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার রামপুরহাট থানার তাঁতবাধা তেঁতুলপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বালকের নাম বাবুলাল টুডু (১২)। বাড়ি তাঁতবাধা তেঁতুলপাড়াতেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের ভিতরে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি পাথর বোঝাই ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। সাইকেল থেকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বালকের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bathroom Tarapith
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE