তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল কার্যালয়ে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল মহম্মদবাজারের সোতসালে নাবালক খুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গত মাসের ২৩ তারিখের ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্তকে এ দিন অবসরকালীন রামপুরহাট আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। সেই উল্লাসে তাঁদের কয়েকজন অনুগামী গোলমাল পাকাতে সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। তাঁদেরই কয়েকজন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমা মারে। এ দিকে অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ, সিউড়ি সদর সিআই সোমনাথ দে। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় বছর দেড়েক আগে সোতসাল গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মহম্মদ ইসমাইল ওরফে নয়ন নামে এক নাবালক খুন হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল শেখ ওরফে টিসন এখনও ফেরার। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সাত অগস্ট মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সোতসালে মিছিল করে স্থানীয় লোকজন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা আরজিনা বিবির স্বামী শেখ আব্বাসের দাবি, ‘‘মিছিল করার অপরাধে নয়নের বাবা আসাতুল্লা শেখের উপর ১৯ অগস্ট সকালে মূল অভিযুক্ত টিসান শেখের দলবল হামলা চালায়।’’
ঘটনা হল, একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসের ২৩ তারিখ সকাল থেকেই সোতসালে উভয় পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয়। এবং উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। গ্রেফতার করা হয়, টিসন শেখের অনুগামী আবুল হায়াদ ওরফে তোতা ও রোজ শেখকে।
এ দিন আব্বাস বলেন, ‘‘শুক্রবার তোতা ও রোজকে রামপুরহাটের অবসরকালীন আদালত জামিন দেয়। কিন্তু তাঁরা জেল-হাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার আগেই ফের ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে টিসনের লোকজন। উত্তেজনা ছড়াতে এ দিন সন্ধ্যায় সোতসাল বাসস্ট্যান্ডে ২৫-৩০ জন লোক জড়ো হয়। তখনই টিসন পক্ষের নুরকালাম শেখ, আজারুল শেখরা দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজি করে। ভাগ্য ভাল সে সময় দলীয় কার্যালয়ে কেউ ছিলেন না। পিছনেই আমাদের বাড়ি।’’
তাঁর দাবি, স্ত্রী আরজিনা বিবির চোখের সামনেই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এবং আজারুল ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আজারুলদের দাবি, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এ দিন কোনও বোমাবাজির ঘটনাই ঘটেনি। শ্রমিক ইউনিয়ানের টাকাকে কেন্দ্র করে জটিলতা। টিসন ও আমরা ইউনিয়ানের টাকার হিসাব চেয়েছিলাম। তারপর থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়ানো হচ্ছে।’’
পুলিশ জানায়, শুক্রবারের ঘটনায় এখনও কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy