E-Paper

অমর্ত্য, বিশ্বভারতীর মামলা ফের পিছোল

 

 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৫
অর্মত্য সেন (বাঁ দিকে), বিদ্যুত চক্রবর্তী (ডান দিকে)।

অর্মত্য সেন (বাঁ দিকে), বিদ্যুত চক্রবর্তী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ফের পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্য সেনের মধ্যে চলা জমি-মামলা। ২৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বীরভূম জেলা আদালত। তত দিন পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো অমর্ত্য সেনের জমি খালি করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালতের নির্দেশ।

শুক্রবার জেলা ও দায়রা বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে জমি-মামলার শুনানি ছিল। আগের শুনানিতে (১৫ জুলাই) অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সওয়াল করেন, উচ্ছেদ-নোটিস জারি করার ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিসারের কোনও এক্তিয়ারই নেই। কারণ, এস্টেট অফিসারের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। এ দিন সেই প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, বিশ্বভারতী অমর্ত্য সেনকে এই মামলায় যথেষ্ট সময় দেওয়ার পরেও তিনি ‘সহযোগিতা’ করেননি।

তাঁদের আরও দাবি, এস্টেট অফসারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, অমর্ত্য়ের পূর্বপুরুষের বাড়িতে কোনও রকম হাত দেওয়া হবে না। বাড়ির চারপাশে থাকা ফাঁকা জমির মধ্য থেকেই ‘অতিরিক্ত’ ১৩ ডেসিমাল জায়গা নেওয়া হবে।

বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস এ দিন বলেন, “বিশ্বভারতীর তরফ থেকে অমর্ত্য সেনকে প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। ৩-৪ দিন ওঁকে ডাকা হয়েছে সমীক্ষা করার জন্য। উনি আসেননি। এর পরে ওঁকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল শুনানিতে তাঁর বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য। তিনি সেটাও করেননি।’’ সুচরিতার দাবি, এ দিন আদালতে অমর্ত্যের আইনজীবীরা সওয়াল করেছেন। তা হলে এস্টেট অফিসারের সামনেও আইনজীবীরা এসেই সওয়াল করতে পারতেন। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। তাঁর বক্তব্য,‘‘এস্টেট অফিসারের নিয়োগ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা হাস্যকর। আমরা আদালতে জানিয়েছি, ওটা অহেতুক সময় নষ্ট করার প্রচেষ্টা।”

অন্য দিকে, অমর্ত্য সেনের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা এস্টেট অফিসারের এক্তিয়ার নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিলাম, তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিশ্বভারতীর আইনজীবী। যদিও কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। কোন জায়গা থেকে কী ভাবে ওঁরা জমিটা নিতে চাইছেন, সেই বিষয়ে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারও সদুত্তর দিতে পারেননি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Amartya Sen Bidyut Chakraborty Visva Bharati University

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy