Advertisement
০৭ মে ২০২৪
চরমপত্র দিল বিশ্ববিদ্যালয়

অসমেই ফিরছেন অনুপম

শিক্ষকের চাকরিটা চাই কি, চাই না—কার্যত সাংসদ অনুপম হাজরার কাছে এটাই জানতে চেয়েছে শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪১
Share: Save:

শিক্ষকের চাকরিটা চাই কি, চাই না—কার্যত সাংসদ অনুপম হাজরার কাছে এটাই জানতে চেয়েছে শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। চাকরি চাইলে দশ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিয়মনীতি মেনে কাজে যোগ দিতে হবে, তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাও। এবং এই চাপের মুখে দাঁড়িয়েই শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাই বেছে নিয়েছেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ।

দিল্লি থেকে টেলিফোনে আজ অনুপম হাজরা বলেন, ‘‘আমি কাল বা পরশুর মধ্যে আসামেই যোগ দেব।’’ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে গত ৫ অগস্ট তাঁকে ই-মেল করা হয় বলে অনুপম জানান। তাঁর বক্তব্য, রবিবার তিনি সেই মেল দেখার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যদিও উপাচার্য আজ বলেন, ‘‘অনুপমের কাছ থেকে লিখিত কোনও উত্তর এখনও পাইনি।’’ কিন্তু বিশ্বভারতীর চাকরি ফেরত পেলে কি তিনি আসামে যাবেন? বিশ্বভারতীর উপর বিশেষ ভরসা করছেন না অনুপম। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বভারতী এত দিন মুখেই যা কিছু বলেছে। কিন্তু সেই ভরসায় তো আর থাকা যায় না! ঝুঁকি না নিয়ে তাই শিলচরের স্থায়ী চাকরিতেই যোগ দিচ্ছি।’’

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, ‘‘লিয়েন নিয়ে বিশ্বভারতীতে পড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সাংসদ। এ বার সেখানকার চাকরিটা যাওয়ার পর আমাদের কী করণীয়, তা জানতে অনেক আগেই একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন হাজরাকে কাজে যোগ দিতে বলে চিঠি পাঠাতে পরামর্শ দেয়। তা মেনেই তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়।’’ কিন্তু ছুটি নিলেই কি সাংসদ ও শিক্ষক এক সঙ্গে থাকতে পারবেন? উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত সংস্থা বলে এটা কোনও সমস্যা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শুধু দেখতে হয়, একই সময়ে দু’দিক থেকে আর্থিক সুবিধে ভোগ করছেন কিনা। ছুটি নিয়ে এই দিকটা স্পষ্ট করলেই সমস্যা মিটে যায়। যদিও বেতন প্রসঙ্গে অনুপমের বক্তব্য, ‘‘ইউজিসির নিয়মেই রয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যদি বিধায়ক বা সাংসদ হন তবে দু’টো কাজই তিনি এক সঙ্গে করতে পারবেন। দু’টো জায়গা থেকেই বেতনও নিতে পারবেন। কোনও অসুবিধা নেই।’’

প্রসঙ্গত, অনুপম হাজরা ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পর তিনি বিশ্বভারতীতে সুযোগ পেয়ে যান। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের লিয়েন নেন। ২০১৪-র ৪ ডিসেম্বর তাঁর ফিরে আসার কথা ছিল। তত দিনে তিনি সাংসদ হয়ে যান। আরও এক বছরের লিয়েন চেয়ে চিঠি লেখেন বিশ্ববিদ্যালয়কে। ছুটি মঞ্জুরও হয়। কিন্তু ২০১৫-র ডিসেম্বরে সে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE