দোকানে বি়জ্ঞপ্তি। —নিজস্ব চিত্র
দেশি মদের দোকানে পরপর হামলা চালিয়েছিল প্রমীলা বাহিনী। বুধবার জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে গিয়ে দেশি মদ বিক্রি নিয়ে তাঁদের অভিযোগ জানালেন কিছু মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, মদের জন্য পরিবারে অশান্তি লেগেই রয়েছে। তাই মদ বিক্রিতে রাশ টানতে হবে প্রশাসনকে। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রশাসন তাঁদের থেকে স্মারকলিপি নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। দু’দিন পরে তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছে।
মদ বিক্রেতাদের জেলা সংগঠনের কর্তারাও এ দিন জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক গোলাপ জয়সওয়াল জানান, মদের দোকানে পরপর হামলায় বিক্রেতারা আতঙ্কিত। বিষয়টি তাঁরা দফতরকে দেখতে অনুরোধ করেছেন। জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ সেন বলেন, ‘‘দোকানদারদের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমরা পুলিশকে পুরো বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করব।’’
এ দিন প্রশাসনিক কার্যালয়ে যাওয়া ওই মহিলাদের মধ্যে কয়েক জন জানান, তাঁরা শহরের বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। দেশি মদের জন্য তাঁদের পরিবারে প্রায় প্রতিদিন অশান্তি লেগে থাকে। স্বামী মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে ঝামেলা করেন। সমস্ত রোজগার উড়িয়ে দেন মদ কিনে। এক মহিলা বলেন, ‘‘ছেলেকে টিফিনের জন্য পাঁচ টাকা দিয়ে স্কুলে পাঠাই। বন্ধুরা মিলে সেই টাকাগুলো দিয়ে মদ কিনে খায়।’’ তাঁদের অভিযোগ, অল্পবয়সীদেরও মদ বিক্রি করা হয় শহরের বেশ কিছু দোকানে। অবিলম্বে দেশি মদ বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
রবি এবং সোমবার পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন মদের দোকানে পরপর প্রমীলা বাহিনীর হামলায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। দেশি মদ বিক্রিতে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছে। বুধবার শহরের কয়েকটি মদের দোকানে বিকিকিনি চলেছে গ্রিলের বা দরজার ফাঁক দিয়ে। অনেক দোকানেই বিক্রেতারা দেশি মদ বিক্রি করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রেখেছেন। নিরাশ হয়ে ফিরেছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy