Advertisement
E-Paper

চার মাসেই মিলল সেতুর অনুমোদন

চার মাসেই মিটল দাবি! মিশন নির্মল বাংলার কাজ কতটা এগিয়েছে, সেই দেখতেই প্রায় চার মাস আগে খয়রাশোলের ছোড়াগ্রামে গিয়েছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০৭

চার মাসেই মিটল দাবি!

মিশন নির্মল বাংলার কাজ কতটা এগিয়েছে, সেই দেখতেই প্রায় চার মাস আগে খয়রাশোলের ছোড়াগ্রামে গিয়েছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। অনুষ্ঠানে কথা বলেছিলেন এলাকার পড়ুয়াদের সঙ্গে। হাতের নাগালে জেলাশাসককে পেয়ে কথা বলার ফাঁকে সেতুর দাবি জানিয়েছিল গ্রামের পড়ুয়ারা। ‘‘স্যার, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, পঞ্চায়েত সবই নদীর ওপারে। খুব কষ্ট হয় বর্ষায়। নদীর উপরে কী একটা সেতু করে দেওয়া যায় না।’’ দাবিতে সমর্থন ছিল গোটাগ্রামের।

জেলাশাসক কথা দিয়েছিলেন, ‘‘সেতু হবে!’’

সে সেতুই হচ্ছে এ বার। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা মেনে, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাল নদীর উপর একটি সেতু অনুমোদিত হয়েছে। জেলা পরিষদের জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যানে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ডাকা হয়ে গিয়েছে দরপত্রও। এখন শুধু কাজে হাত দেওয়ার পালা। ঠিক হয়েছে, নদীরে এ পার ও পারে খয়রাশোলের নিঙ্গা ও ছোড়া মৌজা সেতুর সঙ্গে যুক্ত হবে। জেলাশাসক কথা রাখায় খুশি এলাকার মানুষ। তাঁরা ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখছেন দুর্ভোগ ঘুচল বলে।

জেলাশাসক বাসিন্দাদের বলে এসেছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটাবেন। সেই দাবিই এ বার পূরণের পথে।

খয়রাশোলের রূপসপুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি বড় গ্রাম ছোড়া। ঠিক পাশেই রয়েছে বড়ঘাটা নামের আরেকটি গ্রাম। দুটি গ্রামের মিলিত জনসংখ্যা কম-বেশি সাড়ে তিন হাজার। গ্রামের মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ওই নদীর উপর একটা সেতু। কারণ, স্কুল, কলেজ, ব্লক, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্যাঙ্ক সবই নদীর ওপারে। ‘‘জুলাই থেকে অক্টোবর দু্র্ভোগের অন্ত থাকে না আমাদের।’’ বলছেন, গ্রামের বাসিন্দা নিমাই দাস, মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল, উজ্জ্বল ঘোষ, কৃষ্ণগোপাল ডোমেরা।

বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘মাঠে ফসল রোওয়া থেকে কাটা, পঞ্চায়েত, ব্লক স্কুল কলেজ যাওয়া কার্যত বন্ধ। রোগী নিয়ে যে কী কষ্ট বলে বোঝাতে পারব না। পথ একটা রয়েছে ঠিকই। সেটা ১৫ কিমি ঘুরে। বহু বছর ধরে আমরা প্রশাসনের কাছে সেতুর জন্য দরবার করছি। ফল হয়নি। ভাগ্যিস জেলাশাসক এলেন। পড়ুয়ারা আবদার করল।’’ জানা গে‌ল, শুধু তাঁদের গ্রাম দুটি নয়, সেতু হলে কষ্ট কমবে ডেমুরিয়া, কাপাসতোড়, আগয়া কুলেকুড়ি, রূপসপুর, নিঙ্গা-সহ অন্তত ১২-১৪টি গ্রামের মানুষের।

কী বলছেন জেলাশাসক?

তিনি বলেন, ‘‘জেলাপ্রশাসন খুশি যে এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের ইচ্ছাপূরণ হতে চলেছে। সেতু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’’

Bridge Construction
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy