প্রতীকী ছবি।
জেলায় একক ভাবে মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল বিজেপি। সোমবার সম্পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে এমন ৯টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা ছিল। তার মধ্যে মল্লারপুর ১ বাদে সব ক’টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। ৩-৩ আসনে টাই হয়ে রয়েছে মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েত। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপ্তেন্দু বেরা বলেন, ‘‘ন’টি জায়গায় নির্বিঘ্নে বোর্ড গঠন হয়েছে। রামপুরের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে ছিল, সম্পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে এমন যে ১০টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে ২৭-২৯ তারিখের মধ্যে। সেই মতোই এ দিন ৯টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। তবে চর্চার কেন্দ্রে থাকা রামপুরের পাশাপাশি কৌতুহল ছিল মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েত নিয়েও। এই পঞ্চায়েতে ১৩টির মধ্যে ৯টি আসন বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েতের অধীন তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। এ দিন প্রধান হন বিজেপির তনুশ্রী লেট, উপপ্রধান সমীর লোহার। তৃণমূলের চার সদস্য প্রধান নির্বাচনে যোগ দেননি। এর আগে বিজেপি দীর্ঘ ২০ বছর ময়ূরেশ্বর ২ পঞ্চায়েত সমিতির ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত একক ভাবে ক্ষমতায় ছিল। এ বার ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি একক ভাবে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। একই পঞ্চায়েত সমিতির অধীন ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ময়ূরেশ্বর ২ পঞ্চায়েত সমিতির কুণ্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতেও একক ভাবে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। এ বছর ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছে।
জেলার ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র একটিতে বোর্ড গড়তে পারলেও খুশি বিজেপি নেতারা। নেতৃত্বের কথায়, ‘‘জেলায় এ বারে শাসকদলের হুমকিতে ভোটই হয়নি। হলে অন্যরকম ফল হত।’’ বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের মুসলিম তোষণ, এলাকায় অনুন্নয়ন, পঞ্চায়েতে দুর্নীতির প্রতিবাদে এলাকার মানুষ সরব হয়ে বিজেপিকে জয়ী করেছে। আমরা পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
তৃণমূল সদস্যরা এ দিন প্রধান নির্বাচনে যোগ দেননি। কেন? ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত। তা ছাড়া এলাকার মানুষ কোনও কারণে আমাদের পছন্দ করেননি। সেই রায় মেনে নিয়েছি। তাই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্যন্ত কেউ বিরোধী কাউকে হুমকি দেয়নি বা দল ভাঙায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy